একজন নাজিমউদ্দীন। এস.এম.সামছুল আলম নিক্সন

প্রকাশিত: ৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০

একজন নাজিমউদ্দীন। এস.এম.সামছুল আলম নিক্সন

আলোকিত সময় ডেস্কঃ একজন মানবিক মানুষ। নাম ভিক্ষুক।সে কিছু পাওয়ার জন্য কি তার সর্বশেষ সঞ্চিত সম্বলটুকু ক্ষুধার্ত মানুষের নামে উৎসর্গ করেছেন ? কিছু পাওয়ার জন্য কি এই মানবতা? নিশ্চয়ই না। মানবিকতা দেশ থেকে আজ বিলুপ্তির পথে।দেশ প্রেমিক বা নেতা নামধারী মুখোশ গুলো আজ চুরি,অনিয়ম,মিথ্যা ও জালিয়াতিসহ নানা ফন্দিতে ব্যস্ত।এই করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী সাহায্যের অগণিত হাত। তবে আমাদের ছোট্ট এই দেশে সেই হাতের সংখ্যা সীমিত। অবশ্য চোরের হাতের দিক থেকে পৃথিবীর সব কটি দেশ, আমাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। লজ্জায় গর্বিত হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।ভিক্ষুক নাজিমউদ্দীনের মানবিকতায় আমি আনন্দে ও গর্বে আত্মহারা হওয়ার মত।বরিশালে সাংবাদিক রোমান চৌধুরীকে ফোন দিয়েও অনুরোধ করেছি ওদের পরিচিত সবাই যেন সংবাদটা ছাপায়।আমি ভেবেছি ভিক্ষুকের এই দানের সংবাদে আমারা দেশের অনেক ভদ্রলোক, সমাজসেবক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী ও নেতা নামের প্রাণীগুলো যেন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি।যেন লজ্জা আমাদের গালে চাপ্টা দেয়। যেন মনে করতে পারি। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।চুরি কোন বাহাদুরি নয়।অবৈধ অর্জন আর প্রচুর সম্পদ প্রকৃত সম্মেনের প্রতিক নয়। যা ভিক্ষুক নাজিমের ভেতরে আছে।উপরে হয়তো তার জরাজীর্ন,ক্ষুধার্ত শরীর, আর অভাবের ক্ষতবিক্ষত পোশাক। আমরা কি কখনো আলোকিত মানুষ খুঁজেছি ? বা কিছুটা আলোকিত মানুষ পেয়েও কি তার মূল্যায়ন কখনো করেছি ? হাজারো নাজিমউদ্দীন আজ দেশের পথে প্রান্তরে।অনাহারে বা অর্ধঅনাহারে পড়ে আছেন। আমরা তাদের চিনি না বা চেষ্টা করিনা চিনতে।অনেক লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। তবে ভয়ও হয়। যাই হোক। এখন মুল কথায় আসি।নাজিমউদ্দীনে মানবতার বিনিময়, সরকারি ভাবে কিন্তু গতকাল হয়ে গেছে। মাত্র দশ হাজার টাকায এত টাকা লাভ ? এটা অনেক ব্যসায়ী বা লোভী শ্রেনি বোধহয় ভাবছে।সরকার একজন আলোকিত মানুষকে সহায়তা ও পুর্নবাসন করবেন সেখানে আমার কোন দ্বিমত নেই।বরং অসহায় মানুষের মুক্তির মিছিলের অমিও একজন সাথী।তবে নাজিমুদ্দিন মানবতার চোখ খুলতে। যে পথে, প্রদর্শকের ভূমিকায় যাত্রা শুরু করেছিলে সেই যাত্রায় আরো হাজারো নাজিমউদ্দীন শামিল হতে পারতো।যাত্রা শুরু আগেই রাষ্ট্র তার গতি রোধ করেছে বলে আমার মনে হচ্ছে। কারন দেশের আনাচে-কানাচে থেকে যারা নাজিমউদ্দীনের সহযাত্রী হতেন। তারা এখন লজ্জা বা দ্বিধায় আত্মপ্রকাশ করবেন না। ভাববেন নাজিমউদ্দীনের মানবিক সহায়তায়, বাড়ি, ব্যবসা ও চিকিৎসা পেয়েছেন ।পরবর্তী নাজিমউদ্দীনরা হয়তো প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মানবিক হয়ছেন। তাই আগামীর মানবিক দান প্রশ্নবিদ্ধ হতেও পারে।অতএব নাজিমউদ্দীনের রাষ্ট্রীয় সম্মানে আমরা গর্বিত। তবে ঘোষণা টি অন্তত কিছুদিন পরে দিলে আমরা আরো কিছু মানবতার ফেরিওয়ালা হয়তো পেতাম।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest