জয়পুরহাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাত্র ৬ জন দরিদ্র মানুষের ২৫০০ টাকা বিতরনে অনিয়মের হাস্যকর অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২০

জয়পুরহাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাত্র ৬ জন দরিদ্র মানুষের ২৫০০ টাকা বিতরনে অনিয়মের হাস্যকর অভিযোগ
আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউপি চেয়ারম্যান ও জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়ার সহ সভাপতি মোল্লা শামসুল আলমের বিরুদ্ধে মাত্র ৬ জন দরিদ্র মানুষের ২৫০০ টাকার ঈদ উপহার নিয়ে অনিয়মের মিথ্যা,হয়রানীমুলক ও হাস্যকর অভিযোগ করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ইউনিয়নের কোমর গ্রামের হারুন-উর-রশিদ নামে এক মাদকসেবীকে দিয়ে চেয়ারম্যানের রাজিৈনতক প্রতিপক্ষরাই জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রশাসনে এমন হাস্যকর অভিযোগ করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন একই ইউপি’র প্রায় সকল সদস্যসহ এলাকাবাসী।
হারুন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, সরকারের ঈদ উপহারের ২৫০০ টাকা বিতরনের লক্ষে তালিকা প্রস্তুত করতে গিয়ে বম্বু ইউনিয়নের চেযারম্যান ও তার ছেলে অনিয়ম করেছেন। তালিকায় কোমর গ্রামের মৃত রাজুর স্ত্রী রেজিনা, জামিল হোসেনের ছেলে আনিছুর রহমান, মজিবর রহমানের ছেলে আবেদ আলী ও ফরিদ হোসেনের স্ত্রী সেলিনা বেগমের নাম দেওয়া হলেও চেয়ারম্যান, তার ছেলে ও পুত্র বধূর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই গ্রামের পাকা ছাদের ঘরের মালিক আব্দুস সবুরের ছেলে ফরিদ হোসেনকেও ২৫০০ টাকার তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। আবার ওই গ্রামে আব্বাস আলীর ছেলে কাশেম নামে কোন ব্যাক্তি না থাকলেও তাকে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।
তালিকাভূক্ত ও তাদের স্বজনরা জানান, তাদের মধ্যে কেউ দিন মজুর আবার কেউ রাজমিস্ত্রসহ শ্রমজীবি মানুষ। ২৫০০ টাকার জন্য তালিকা করার লক্ষ্যে যে দিন গ্রামে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল, সে দিন তারা কাজের জন্য বাড়ি ছিলেন না। এ কারনে তারা প্রতিবেশী ও বিশস্ত হওয়ায় চেয়ারম্যান, তার ছেলে ও পুত্রবধূর মোবাইল নাম্বারগুরলোই তথ্য সংগ্রহকারীকে দিয়েছেন।
ইউএনও অফিসে গিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য খায়রুল আলম মিঠু ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুখ হোসেন (অভিযোগকারী হারুনের মদতদাতা) তালিকাভূক্তদের প্রলুব্ধ করছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
বম্বু ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল বাবু, সদস্য আব্দুল হাকিম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মমতা বেগম, বম্বু ইউপি আওয়ামীলীগের ৪ নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কোমর গ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারি ইকবাল হোসেন, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি শাহ আলমসহ এলাকাবাসীরা জানান, মাত্র ৬ জন হত দরিদ্র মানুষের সামান্য ২৫০০ টাকা বিতরনে কোন চেয়ারম্যানই অনিয়ম করতে পারেন না।
আর হারুন উর রশিদ নামে যে ব্যাক্তি অভিযোগ করেছেন তিনি ও তার মদতদাতা মিঠু মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ফারুখ হোসেন ব্যাক্তিগত সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার কারনে হোক বা গ্রুপিং রাজনীতির কারনে সামান্য বিষয়টিকে ঘোলা করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন বলেও জানান উল্লেখিত ইউপি সদস্যগন ।
বম্বু ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা শামসুল আলম বলেন, ‘ ৬ জনের মাত্র ২৫০০ টাকা বিতরনে অনিয়মের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা দেশের কোন পাগলেও বিশ্বাস করবে না ।’
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় অেিভযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আরো জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

 


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest