ঠাকুরগাঁওয়ে অতি বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে আম চাষিরা

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২০

ঠাকুরগাঁওয়ে অতি বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে আম চাষিরা

মোঃ মোতাহার হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি \ ভরা মৌসুমে আমের ফলন ওঠার আগে অতিবর্ষণ আর জলাবদ্ধতা, যেন মরার উপড় খারার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারনে ঠাকুরগাঁওয়ের আমচাষিরা এবার কাংখিত দাম পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বাগানের পরিচর্যা করতে পারেনি আম চাষিরা। প্রকৃতির বিরুপ আচরণে বিবর্ণ হয়ে গেছে বাগানের অধিকাংশ আম। সেই আম নিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। তাই এবার কম দামে আম বিক্রি করে কাঙ্খিত লাভের মুখ দেখছেন না চাষিরা। ভারী বৃষ্টিতে ৫ শ’ হেক্টর জমির আম বাগানে সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা । তাই আম তুলতে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা।

বাগান মালিকরা বলছেন, অবিরাম বৃষ্টিতে আম বাগানের পরিচর্যা করতে না পারায় আমের শরীরে কালো দাগ পড়েছে। এ কারণে আকৃষ্ট হচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। গেল বছর এই সময়ে যে বাগান ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার সেই বাগান বেচতে হচ্ছে ২ লাখ টাকায়। লকডাউন আর করোনা ভাইরাসের অজুহাতে ঢাকায় আম পাঠাতেও ট্রাক প্রতি গুনতে হচ্ছে ৭ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলায় ২ হাজার ৮শ ৪০ হেক্টর জমিতে সূর্যাপুরী, মিশ্রিভোগ, হাড়িভাঙ্গা, বান্দিগৌরি, আম্্রপলি সহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। এ থেকে ৪৩ হাজার ৭৭ মেট্রিক টন আমের ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কুশলডাঙ্গী গ্রামের আম চাষি অসিম হায়াত পাঞ্জাব বলেন, অতি বর্ষনে ঘর থেকে বের হওয়া যায়নি। তাই এবার আম বাগানের পরিচর্যা করা যায়নি। ফলে আমে কালো দাগ পরেছে। ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গতবছর ঢাকায় আম পাঠাতে খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এবার তা বেড়ে ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগছে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, এবার আমের ভাল ফলন হয়েছে। বাজরে ক্রেতার উপস্থিতি ও পরিবহন ব্যবস্থা ভাল হলে চাষিরা আমের দাম ভাল পাবে বলে আশা করা যায়। তবে অতি বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতায় কিছু আমের ক্ষেতে পানি জমেছে। বৃষ্টিপাত না হলে দ্রæত পানি সরে যাবে বলে জানান তিনি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest