বরিশালে ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে শত শত বসতবাড়ী, বাঁধ নির্মাণের দাবি।

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২০

বরিশালে ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে শত শত বসতবাড়ী, বাঁধ নির্মাণের দাবি।

লিটন বায়েজিদ, বরিশালঃ বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নে আড়িয়াল খাঁ নদীর কোলঘেঁষে বয়ে গেছে আটহাজার, ইছাগুড়া ও বুখাইনগর নামে কয়েকটি গ্রাম। অতি বৃষ্টি ও পানিরস্রোতে এই গ্রামীন জনপদের নদী পাড়ের প্রায় ৩ কিলোমিটার জুরে ভাঙ্গনের ফলে স্থানীয় বসবাসরত প্রায় আড়াইশো পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় নিঃস্ব হয়ে দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থায় জীবন যাপন করতেছে। শুধু তাই নয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অত্র অঞ্চলের প্রায় অধিকাংশ মানুষ নদী ভাঙ্গনের মুখ থেকে বাঁচতে নিজেদের বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ২৫০ পরিবারের ঘরবাড়ি, মসজিদ, রাস্তাঘাট, গাছপালাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মানুষগুলি মানবেতর জীবনযাপন করছে। নদী পাড়ের বসবাসরত লোকজনের দাবি দ্রুত নদী পাড়ে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হলে তারা নিজস্ব বসত-ভিটায় নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করতে পারবে। সরেজমিনে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন জুয়েল ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ জনসাধারণগন ছুটে এসে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা অনায়াসে প্রকাশ করেন। নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল খায়ের ইসহাক বলেন গতবছর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং তার তদারকিতে গতবছর বালুর বস্তা ফেলে জায়গাটি কিছুটা রক্ষা করা গেলেও এ বছর আরও বেশি করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাই আমাদের উদ্যোগে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগাযোগ করে বাধটি নির্মাণের ব্যাপারে কথা বলেছি, এবং স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান বিতরনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছি। তাই নদীপারের স্থানীয় বসবাসরত মানুষ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম’র দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক পুনরায় নদীপাড়ের বাঁধটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান। বিষয়টি বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের নজরে আছে কিনা জানতে ফোন দিলে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest