ঢাকা ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২০
পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালে আদালতের জিআরও’র (জেনারেল রেজিস্টার অফিসার) সাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে মামলার এজাহারভূক্ত আসামীর ভূয়া জামিনের রিকল তৈরী ও থানায় প্রেরনের ঘটনায় জড়িত থাকায় এক দালালকে গ্রেফতার করেছে উজিরপুর থানা পুলিশ। সোমবার (১০ আগস্ট) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় অভিযুক্ত দালাল জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদারকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মওদুদ আহমেদ তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
সংশ্লিস্ট আদালতের জিআরও আবু তালেব জানান, গত ২৩ জুলাই উজিরপুর থানায় জনৈক ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৬জন আসামী ছিলেন। এর মধ্যে বাদশা খান নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। বাকী ৫ আসামী বাদল খান, রফিক খান, হালিম খান, কামাল খান ও আব্বাস খান আদালতে হাজির হননি কিংবা জামিন নেননি। অথচ গত ৩০ জুন সংশ্লিস্ট আদালতের জিআরও আবু তালেবের সাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে বাদশা খানের জামিনের রিকলের (জামিনের প্রমানপত্র) সাথে জামিন না নেওয়া ৫ আসামীর নাম যুক্ত করে দালাল জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদার একটি ভূয়া রিকল তৈরী করে উজিরপুর থানায় প্রেরন করে।
এ নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমানের সন্দেহ হলে তিনি ওই রিকলের সত্যতা যাচাই করেন। যাচাইকালে ৫ আসামীর জামিন না নিয়েও থানায় ভূয়া রিকল পাঠানোর বিষয়টি ধরা পড়ে পুলিশের কাছে। ওই সময় সংশ্লিস্ট জিআরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ৭ জুলাই ওই ৫জনের বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় একটি প্রতারনার মামলা দায়ের করেন। প্রতারনা মামলা তদন্তকালে প্রতারক জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে গত ১০ আগস্ট উজিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক শুনানী শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST