এনামুল হক বাউফল পটুয়াখালী। তেঁতুলিয়ার ভাঙন কবলিত ধুলিয়া, এলাকার হাজারো পরিবার ও করোনায় কর্মহীন উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার। ঈদের আনন্দের পরিবর্তে এসব পরিবারের সদস্যদের চোখে মুখে এখন হতাশার ছাঁয়া। কোরবানির সামর্থ নেই এসব পরিবারের। আগে অনেকে সাত ভাগে মিলে কিংবা সাধ্যমতো পশু কোরবানি করলেও এ বছর সেই সামর্থটুকও হারিয়েছে অধিকাংশ গৃহকর্তা। ঈদের কেনাকাটা কি জিনিস বোঝেন না এরা। কয়েকশ পরিবার ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এই বর্ষায় দিশেহারা। এদের মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যতীত প্রায় সবাই প্রতিবছর গরু কিংবা ছাগল কোরবানি করে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যে ঈদ উদযাপন করলেও এবারে তাদের ঈদ আনন্দ নেই । নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা পরিবারগুলো। ঈদের আনন্দ নয়, ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়ে একটু মাথা গোজার ঠাই চায় এরা, তেতুলিয়া ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারানো মজনু মিয়া জানান, প্রতিবছর ছেলে সন্তান নিয়ে আনন্দের সাথে ঈদুল আজহা উৎযাপন করতাম আমরা, এ বছর নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটিসহ সব সম্বল হারিয়ে ফেলেছি, কোরবানি দেয়া তো দূরের কথা, মাথা গোজার ঠাই টুকু নিয়েই তো শঙ্কায় আছি। আমরা আমাদের ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃস্টি আকর্ষন করছি।