গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নে ত্রাণের অপেক্ষায় অসহায়রা

প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২০

গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নে ত্রাণের অপেক্ষায় অসহায়রা
ওমর ফারুক, রাজশাহী ব্যুরো:- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। আর এ ওয়ার্ডের অনেক মানুষ দুবার সরকার পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ হলেও অনেক দরিদ্র মানুষ পাচ্ছেন না। তবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুল হকের দাবি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য যে বরাদ্দ পায় তা নয়টি ভাগ হয়। পর্যাপ্ত কার্ড না পাওয়ায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হয়না। যেতা পাওয়া যায় তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭ নং দেউপাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাংলাকান্দর, বরদামা, বেলপুকুর, কদমশহর ও নাপিতপাড়া, পলাশবাড়ি এবং জামদাহা গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামের প্রায়ই বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর বা অন্যের খেতে কাজ করে দিন চালায়। করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব বাড়ার পর থেকে এসব মানুষের কাজ নেই। কাজ না থাকায় আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে এসব মানুষ পরিবারের ছেলে মেয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ওয়ার্ডের বেশ কিছু গ্রামের অনেকেই জানান, দু’দফা কার্ড বিতরণ হলেও তারা খাদ্য সামগ্রী পাননি। তারা অভিযোগ করে বলছেন, তাদের মধ্যকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের যারা অনুগত শুধু তারাই ত্রাণ পেয়েছে। দেখে দেখে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কার্ড দিয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে কার্ড দিচ্ছে না। এই কারণে এখনও তারা সাহায্য পাননি। ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাজেদা, ফাতেমা, মনোয়ারা, এরফান, আসমা, রাহেলা সহ অনেক মানুষই দুইবারের একবারও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেন। অথচ এরা সবাই দিনমজুর পরিবার।ইনকাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এই অবস্থায় তারা সরকারি ত্রাণ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে নিজের নাম না প্রকাশ করার শর্তে এ ওয়ার্ডের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, কখনো কোন কাজে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি ভালোভাবে কথা বলতে চান না। আবার সবসময় চড়াও হয়ে কথা বলেন। এ বিষয়ে দেওপাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা দুইবার এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছি। একবার পেয়েছিলাম ৩৫ টি কার্ড আর একবার তার থেকে কিছু বেশি। প্রথমে যারা রিকশা-ভ্যানচালক ছিলেন শুধু তাদেরই দেয়া হয়েছে। আর পরে যারা খুবই অসহায় তাদের দেয়া হয়েছে। পরিষদ থেকেই বরাদ্দ কম পাওয়া যায়। আর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার ক্ষেত্রে কোন দল দেখা হয় না। এ অভিযোগ সত্য নয়। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন এ সময় বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কাজ কম তাই মানুষের একটু অভাব বেশি ধান উঠলে সরকার থাকবে না। দেওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান আক্তার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি প্রতিবেদক এর সাথে কথা না বলে ফোনের সংযোগ কেটে দিলে দেন।

মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest