রাজশাহী ব্যুরো : গণপরিবহন চলাচলের সরকারী ঘোষণার পর রাজশাহী থেকে দূলপাল্লার চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাসহ আশেপাশের জেলার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রতিটি বাস কাউন্টারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেয়া হয়েছে সতর্ককর্তামূলক ব্যবস্থা। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে বাসে উঠতে দেয়া হয়। বাস চলাচল শুরুর পর সোমবার সকাল থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। বাস চলাচল শুরু কররেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তেমন যাত্রী দেখা যায়নি। এছাড়াও আন্তজেলার বাসগুলোও অনেকটায় ফাঁকা ছিল। তুলনামূলক বাসে যাত্রী কম ছিল। বাস চলাচল করলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থার কারণে আগের তুলনায় ভাড়া বেড়েছে রাজশাহী থেকে ঢাকার ভাড়া নন এসি নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬০ টাকা। যা আগে ছিল ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। আর এসির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০০ টাকা। সেটাও হাজার থেকে ১১০০ টাকার মধ্যে ছিল। ভাড়া বেশি লাগলেও যাদের প্রয়োজন তারা বাসে চেপেই এদিন নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে সকালে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বনলতা ট্রেন ছেড়ে যায়। ওই সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল করলেও তেমনভাবে বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। রোববার বাস না চলাচল করলেও সোমবার সকাল থেকে রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন দূরের জেলায় চলাচলকারী বাসগুলোর কাউন্টারে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সকাল থেকেই শুরু হয় যাতায়াত। রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাসে যাত্রী কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলোতে তেমন একটা যাত্রী দেখা যায়নি। ঈদ পরবতী সময় হওয়ায় যাত্রী কিছুটা কমেছে। দূরপাল্লার পাশপাশি লোকাল রুটেও বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ দেশের সকল সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা হলেও তারপর থেকে ছুটির পরিধি বাড়তে থাকে। বিশেষ সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৩১ মে থেকে ছুটি শেষ হয়। তারপর আস্তে আস্তে শিক্ষানগরী রাজশাহী থেকে বিমান চলাচল, ট্রেন চলাচল ও দূরপাল্লার ও লোকাল রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ পর্যন্ত রাজশাহী ৫২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমদ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে ও বাকি ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।