এস ইসলাম, লালপুর (নাটোর )প্রতিনিধি। লালপুর উপজেলা প্রশাসনের নিজের জায়গা থেকে দুটি মূল্যবান মেহগনি গাছ কেটে নিলেন কাকলি কেজি স্কুলের অধ্যক্ষ। এ ছাড়া শ্রমিক লাগিয়েছেন আরো ৮টি গাছ কাটার জন্য। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা প্রশাসন বা বনবিভাগের কোন অনুমতি নেননি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন কাকলি কেজি স্কুলের অধ্যক্ষ ঝড়ে পড়া ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি গাছ কেটে নেওয়ার আবেদন করেছেন । তবে তাকে কোন অনুমতি দেননি। জানা যায১৯৮৯ সালে উপজেলা প্রশাসনের জায়গার উপরে স্থাপতি হয় কাকলি কেজি স্কুল। গতকাল শ্রমিকরা দুটি বড় বড় মেহগনি গাছ কেটে ফেলেন। এ সময়ে গাছ কাটা শমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, কাকলি কেজি স্কুলের অধ্যক্ষ সাইফুজ্জামান লিটনের নির্দেশে তারা ১০টি গাছ কাটার কাজ শুরু করেছেন। ১০ টি মেহগুনি গাছের আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা । এ বিষয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ সাইফুজ্জামান লিটন বলেন, জায়গাটি উপজেলা প্রশাসনের হলেও গাছগুলি স্কুল কর্তৃপক্ষ রোপন করেছিলেন। ঝড়ে গাছ গুলি পড়ে যাওয়াসহ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়েই তিনি গাছগুলি কাটছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান,স্কুলের পক্ষ থেকেই অনেক আগে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। তবে গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগ কিছু জানে না। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, উপজেলা প্রশাসনের কাছে কাকলী স্কুলের পক্ষ থেকে ঝড়ে পড়া গাছগুলি কাটার রেজুলেশনসহ আবেদন করেছেন । তবে তিনি কোন অনুমতি দেননি । অভিযোগ পেলে ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে । এস ইসলাম, নাটোর তারিখ ১২/০৬/২০২০ মোবাইল ০১৭২৪২২৪২৬৬