ঢাকা ৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরিমল চন্দ্র বসুনিয়া,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করলেও তা কমতে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।
রোববার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ৬০ সে.মি.) চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে গত শনিবার ভোর থেকে পানি প্রবাহ কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছিল। দিনভর বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহের ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
এর ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বামতীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫০০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। দিনভর বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতে পুনরায় কমতে শুরু করে। রোববার সকালে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। তিস্তার বাম তীরের সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST