ঝালকাঠির সাবেক পিপি হায়দার হত্যা মামলায় সব আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্টে

প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

ঝালকাঠির সাবেক পিপি হায়দার হত্যা মামলায় সব আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্টে

আজমীর হোসেন তালকুদার, ঝালকাঠি: আলোচিত জেএমবির হাতে নিহত পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ৫ জঙ্গির সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। দুজন বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও শাহেদ নুরুউদ্দিন সমন্বয় গঠিতি হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্সে মৃত্যুদন্ড সাজা বহাল রাখেন। সাজা প্রদানকারী ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ডেথ রেফারেন্সর আদেশের কপি প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ৫ জঙ্গির মধ্যে মোঃ মুরাদ হোসেন, আবু শাহাদাত মোঃ তানভীর ওরফে মেহেদি, ওরফে আবির, ওরফে মুশকিন ও আমিনুল ওরফে আমির হোসেন জেলহাজতে রয়েছেন। অপর দুজন মোঃ বেল্লাল হোসেন ও ছগির হোসেন ভুইয়া পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় ঝালকাঠির গোরস্থান মসজিদের গেটের সামনে বসেই পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইনকে জেএমবির এই জঙ্গিরা কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হায়দার হোসাইন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন জেলা পর্যায়ের জামাত নেতা ছিলেন এবং এই মামলা পরিচালনা করায় জেএমবির তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। হত্যা করে তাদের পরিকল্পনা এই ৫ জঙ্গি বাস্তবায়ন করে। এর আগে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল জেএমবি ।

হায়দার হোসাইন প্রতিদিনের মতো বাসার সামনে এই মসজিদে নামাজ পড়তে আসতেন। পাঁচ জঙ্গি ঘটনা ঘটিয়ে আলাদা হয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে র‌্যাব তিন জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে। ঝালকাঠিতে দুজন বিচারক হত্যর মামলাটি বিচার চলাকালীন অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন তৎকালীন পিপি হিসাবে মামলাটি সরকারের পক্ষে পরিচালনা করেন। বিচারক হত্যা মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতা সহ ৬ জনের মৃত্যুদ- হয়।

পিপি জেএমবি হায়দার হোসাইন হত্যার ঘটনায় ছেলে তারিক ইবনে হায়দার বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৫ জন কর্মকর্তা তদন্ত করেন এবং সর্বশেষ সিআইডির এস আই মোসাররফ হোসেন ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি ৫ জনকে অভিযুক্ত কারে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বরিশালের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আসামিদের বিরদ্ধে চার্জ গঠন করে। ট্রাইবুনালে বিচার শেষ না হওয়ায় ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শেষ করার জন্য পাঠানো হয়। এই আদালতের তৎকালীন বিচারক মোঃ আব্দুল হালিম ২০১৫ সালের ১১ ফ্রেব্রুয়ারি ৫৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে ৫ জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে।

মৃত্যুদ- প্রাপ্ত জেএমবির জঙ্গি মোঃ মুরাদ হোসেন খুলনা সহরের তুতপারা এলাকার মোশারফ হোসেনের পুত্র। আবু শাহাদাত তানভীর বরগুনা জেলার বান্দরগছিয়া গ্রামের আব্দুর রহিম আকনের ও আমিনুল ওরফে আমির হোসেন ঢাকার উত্তরখানের চামুরখান এলাকার মোঃ বশিরউদ্দিনের পুত্র। পলাতক ছোগির হোসেন বরগুনার উজ্নপুর গ্রামের মৃতঃ সামসুদ্দিন ভুইয়া ও মোঃ বেল্লাল হোসেন বরগুনার তালতলি উপজেলার ছোট বগি এলাকার সফিজউদ্দিন হাওলাদারের পুত্র। মোঃ বেল্লাল হোসেন ঝালকাঠি শহরের একটি মসজিদে ইমামতি করতো।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest