কুয়াকাটায় আদালত কর্তৃক বাতিল হওয়া দলিল দিয়ে জমি বিক্রির আবেদন করার অভিযোগ !

প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

কুয়াকাটায় আদালত কর্তৃক বাতিল হওয়া দলিল দিয়ে জমি বিক্রির আবেদন করার অভিযোগ !

মো. ওমর ফারুক কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের রায় জালিয়াতি দলিল বাতিল করা জমির মালিক গোলাম সরোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে মিউটেশন ও জমাখারিজ করে জমি বিক্রির প্রচেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। কুয়াকাটার পাঞ্জুপাড়া গ্রামের আক্তার আহম্মদ ভ্থইয়া কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ওই অভিযোগে আক্তার আহম্মদ ভ্থইয়া উল্লেখ করেছেন, লতাচাপলী মৌজার এস,এ ৬৬২ নং খতিয়ানের মুল মালিকের কাছ থেকে এক একর ২০ একর জমি ক্রয় করে বসত বাড়ি নির্মান করে জীবন যাপন করে আসছে। উক্ত জমি গোলাম সরোয়ার হোসেন খান উক্ত খতিয়ান হইতে ৭.৭৩ একর জমির কাগজ জালজালিয়াতি করে খেপুপাড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চারটি দলিল দ্বারা মালিক হয়। উক্ত চারটি দলিলের বিরুদ্ধে কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানী মামলায় ৯৭/০৮ উক্ত চারটি দলিল বিগত ২২/০৫/২০১৩ তারিখ ডিক্রী দ্বারা উক্ত দলিল বাতিল করে। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে ওই আদালতে গোলাম সরোয়ার খান ডিক্রী রদের আবেদন দায়ের করলে তাহা ০৫/০৬/২০১৭ তারিখ বাতিল করেন বিজ্ঞ আদালত। এরপর আদেশের বিরুদ্ধে ওই আদালতে ১৫/১৭ মিসকেস আনায়ন করলে সেটিও ১৪/০৫/২০১৮ এর আদেশ মতে খারিজ হয়। এতে আদালতের আগের বহাল থাকে। এরপও সে বাতিল হওয়া কাগজ পত্র দিয়ে ২০/০২/২০০৮ একটি হেবা ঘোষনা দলিলের মাধ্যমে মহিপুর ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিএস জড়িপের রেকর্ডীয় মালিক মো. শহিদুল ইসলাম খানের ১২৪৪ খতিয়ানের ৬৮ শতাংশ জমি নিয়ে ১৫১৩ নং একটি জমাখারিজ খতিয়ান খোলে। উক্ত জমাখারিজ খতিয়ানের বিরুদ্ধে শহিদুল ইসলাম খান বাদি হয়ে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে ১৫০ ধারার বিধান মতে ১৭৬৫-কে/১৮-১৯ নং নামজারিসহ জমা খারিজ খতিয়ান বাতিলের জন্য মিস কেস নং ১৭-কে/১৯-২০ নং মোকদ্দমা চলমান এবং ২০/০২/২০০৮ ইং তারিখের ১১৫৭ নং হেবা ঘোষনা দলিল বাতিলের জন্য পটুয়াখালী জেলা জজ ১ম আদালতে ০১/২০১৯ নং দেওয়ানী মামলা করা হলে আদালতে গোলাম সরোয়ার উপস্থিত হয়ে বর্ণনা না দিয়ে গোপনে উক্ত জমা খরিজ ১৫১৩ নং খতিয়ানে সৃজিত করে। জমাখারিজ এবং জমির হেবা দলিল বাতিল চলমান থাকা অবস্থায় উক্ত দলিলের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার জনতা ব্যাংক মতিঝিল শাখায় এই জমি মর্গেজ বন্ধকি দলিল দিয়ে প্রায় ১১ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ উত্তোলন করলে তাহা পরিশোধ না করে জমি বিক্রির আবেদন করছে এই চক্রটি। জনতা ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা অর্থঋণ আদালতে একটি মামলায় গোলাম সরোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে বলে অর্থঋণ আদালত সূত্র নিশ্চিত করে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest