ঢাকা ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২০
বরিশাল অফিস : বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন এর নিয়ামতি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদে গত ১৬ অক্টোবর সকাল ৯ টায় ভাড়াটে ১০থেকে ১২ জন মাস্তান ও ভূমি দস্যু সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে সিএন্ডবি মহা-সড়কের সাথে অন্যের জমি দখল করার চেষ্টা চালায়। এ সময়ে মৃত্যু হাতেম অালী হাওলাদার এর পুত্র মোঃ মজনু হাওলাদার ও তার ভাই মোঃ অালতাফ হোসেন হাওলাদার তাহাদের ক্রায়কৃত ভোগ দখলে থাকা জমি ভূমিদস্যুদের দখল করতে বাধা প্রদান করেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, সেলিম, জলিলসহ ১০থেকে ১২ জন মাস্তান ভূমিদস্যুদের হাতে থাকা লোহার রড লাঠিসোটা লইয়া তাহাদের খুন-জখমের উদ্দেশ্যে হুমকি প্রদান করেন।
ঘটনার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। ঘটনা এক পর্যায়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি হলেও ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগীদের ভোগ দখলি সম্পত্তিতে সীমানা নির্ধারণের প্রায় ২০/২২ টি পাকা পিলার রাতের আধারে উপড়ে ফেলে দেয় প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ ও তার ভাড়াটে মাস্তানেরা যাতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে গত ১৮ অক্টোবর মোঃ মজনু হাওলাদার বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন হাওলাদার জানান, নিয়ামতি মৌজার জেল নং ১১, খতিয়ান নং ১৬২০, দাগ নং ২৯২৮ তাদের ক্রয় কৃত সম্পত্তি প্রায় ৩৫ শতাংশ দীর্ঘদিন যাবত ওই জমিতে তারা বসত বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সিএমবি সড়ক নির্মাণে তাদের ওই জমি থেকে ১৩ শতাংশ জমি একর করে নেয়। একর কৃত সম্পত্তি থেকে অফুরন্ত কিছু জমি রাস্তার পূর্ব পাশে রয়ে যায় আমরা সরকারি কর ও কাজনাধী দিয়ে ভোগ দখল করে আসছি। নিয়ামতি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের জমি দাবি করে পাকা ভবন নির্মাণের জন্য ট্রাক বোঝাই করে রড, বালি, সিমেন্ট এনে নির্মাণ কাজের পায়তারা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, এই জমি সরকারি জমি। বাউন্ডারি দেয়াল ও একটি ক্যান্টিন নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তিনি বলেন থানায় মজনু আমার নামে অভিযোগ দিয়েছে তা শুনেছি। তবে বিরোধীয় জমি স্কুলের নয় এটা স্বিকার করেন।
নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ভুক্তভোগী মজনু হাওলাদার ও তার ভাই আলতাফ হোসেন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে এবং আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি ওই জমির মালিক মজনু হাওলাদার ও আলতাফ হোসেন হাওলাদার তবে তাদের ওই জমি থেকে সরকার একোয়ার করে নেয়ায় কিছু জমি রাস্তার পূর্ব পাশে থেকে যায় এবং কিছু জমি কালি চরন দাস নামের এক ব্যক্তির রেকর্ড রয়েছে তবে তাও হালটের জমি তবে ওই জমি বিদ্যালয়ের নয়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST