ঢাকা ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২০
মামুনুর রশীদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মৃত্য মাকে দেখতে এসে মুত্যুর কোলে ঢলে পড়লো চৈতি রানী (৩০) ও স্বজনি বালা (৫০) নামে দুই মেয়ে।
গত মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধায় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের খলিফাপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। এদিকে মৃত্য দুই বোনকে বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে তাদের স্বামীর বাড়িতে সৎকার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মুত্যু বরণ করেন চৈতি ও স্বজনির মা পঞ্চমী বেওয়া (৯০)। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন তারা।
মারা যাওয়া মা পঞ্চমী বেওয়া ওই এলাকার প্রয়াত প্রাণ কিশোর বর্মণের স্ত্রী। তিনি ছয় মেয়ে ও দুই ছেলের জননী ছিলেন। এছাড়া মারা যাওয়া বড় মেয়ে স্বজনি বালা একই উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার সুশীল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী এবং ছোট মেয়ে চৈতি রানী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফারাবাড়ি এলাকার পলাশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।
পঞ্চমী বেওয়ার পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাকারিয়া হাবিব বলেন, মঙ্গলবার সকালে পঞ্চমী বেওয়া মারা যাওয়ার পর তাঁর ছয় মেয়েই স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁকে দেখতে আসেন। মেয়েরা দিনভর মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছিলেন। বিকেলে পঞ্চমীর লাশ বাড়ির পাশের শ্বশানে সৎকার শেষ করে স্বামীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করে অচেতন হয়ে পড়েন সবচেয়ে ছোট মেয়ে চৈতি রানী। এ সময় পরিবারের লোকজন তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে পাশ্ববর্তি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ওই মাইক্রোবাসে পঞ্চমীর বড় মেয়ে স্বরজনি বালাও ছিল। সেও যাচ্ছে ছোট বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে। পথিমধ্যে স্বজনি বালাও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদের ঠাকুরগাওঁ হাসপাতলে নেওয়ার পথে রাতে মাইক্রোবাসেই দুই বোনের মুত্যু হয়। মায়ের শোকে দুই বোনের মৃত্যর ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজিউর করিম রাজু জানান, অতিরিক্ত শোকে অনেকের হার্ট এ্যাটাকে মুত্যু হয়। এদের মুত্যুও হার্ট এ্যাটাকে হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST