অতিথি পাখিদের খাবারের চাহিদা পূরণ করতে বরিশাল জেলা প্রশাসকে অভিনব কৌশল

প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২০

অতিথি পাখিদের খাবারের চাহিদা পূরণ করতে বরিশাল জেলা প্রশাসকে অভিনব কৌশল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্গাসাগর দীঘিতে দীর্ঘ একযুগ পরে হাজারো মাইল পাড়ি দিয়ে প্রজননের জন্য ছুটে আসা অতিথি পাখির খাবারের চাহিদা পূরণ করতে জেলা প্রশাসক গ্রহণ করেছে অভিনব কৌশল। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে দীঘির জলে ও পাড় ঘেঁষে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক শামুক ঝিনুক ছাড়া হয়েছে । এই শামুক সংগ্রহে সহযোগিতা করেন উজিরপুর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এর ফলে শীত মৌসুমে আগত অতিথি পাখি এবং হাসের খাবারের চাহিদা পূরণ হবে। খাদ্যের অভাবে যেন অতিথি পাখির প্রজননে কোনরূপ বাঁধা সৃষ্টি না হয় এবং খাদ্যের অভাবে তারা যেন এখান থেকে চলে না যায় তার জন্যই জেলা প্রশাসকের এই অভিনব উদ্যোগ। জেলা প্রশাসক এস. এম. অজিয়র রহমান জানান যে, দুর্গাসাগরে ভারসাম্যপূর্ণ ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে শামুক, ঝিনুক, এছাড়াও দুর্গাসাগরের মধ্যবর্তী দ্বীপকে আরো বেশি দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করে সাজানোর জন্য রোপণ করা হয়েছে দেশীয় নানা প্রজাতির বাঁশ এবং বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। ফুলের গাছের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দ্বীপের চারপাশের জলরাশিতে শাপলা এবং দ্বীপের মাঝে স্থল পদ্মসহ নানা রঙ্গের পদ্ম, গাদা, কলাবতী, হাসনা-হেনাসহ নানা ধরণের শীতকালীন ফুল ।

জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান জেলা প্রশাসক, বরিশাল হিসেবে এ জেলায় দায়িত্ব ভার গ্রহন করার পর থেকে জেলার জনগণকে সাথে নিয়ে এ জেলার উন্নয়ন ও সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জেলার উন্নয়নের পাশাপাশি জেলার পর্যটন স্পট সমূহের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পট ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর দীঘিকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে ইতোমধ্য নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের পরে দুর্গাসাগর দীঘিতে প্রায়ই এক যুগ পরে দুর্গাসাগরে পরিযায়ী অতিথি পাখির দেখা মিলেছে বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিদিন পাখি দেখতে ছুটে যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সের প্রকৃতি ও পাখি প্রেমী মানুষ। দুর্গাসাগরে পরিজায়ী পাখির পাশাপাশি দেখা মিলছে দেশি প্রজাতির হাস, রাজা হাস, দেশি-বিদেশি প্রজাতির পাখি, বানর, শতাধিক কবুতর, হরিণ। এছাড়াও, দীঘির জলে অবমুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, দীঘির জলে খেলা করছে পদ্মের পাশাপাশি লাল সাদা শাপলা, বাহারি নৌকা, দ্বীপের মাঝে ফুলের বাগান, সদ্য নির্মিত ডিসি মঞ্চ, পিকনিক স্পট। বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে শিশুদের জন্য শিশু পার্ক এবং দক্ষিণ বাংলার কৃষক কুলের নয়ন মনি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত এর নামে রেস্টহাউজ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম। দুর্গাসাগরে আগত পর্যটকগণ জেলা প্রশাসক বরিশাল এস. এম. অজিয়র রহমানের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest