নওগাঁর আত্রাইয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের নিমিত্তে সচেতনতা মূলক কর্মশালা

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০২০

নওগাঁর আত্রাইয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের নিমিত্তে সচেতনতা মূলক কর্মশালা

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর আত্রাইয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের নিমিত্তে সচেতনতা মূলক কর্মশালা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার 30নভেম্বর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সকাল 11টায় উপজেলা পরিষদ ও উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ ওজাইকা আয়োজিত কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান ।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি একেএম কামাল উদ্দিন টগর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ ছাইফুল ইসলাম, আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্কাছ আলী, পাঁচুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী,উপজেলা মালিকও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম পল্টু, বাসফোর সুধির, ভাই ভাই রেস্টুরেন্ট এর মালিক ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ রমজান আলী, আব্দুল কুদ্দুস, চৈতা রায়, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনপ্রমূখ।অনুষ্ঠানে বাশফুর সুধির বলেন, আমাদের কোন
ভবিষ্যৎ নেই, রাগতস্বরে বলছিলেন সুধীর বাশফুর।


বাশফুররা িএখানে অচ্ছুৎ,বাংলাদেশের েএকদম নিচু জাতের মানুষ তারা।সুধীর
বাশফুরের পদবীই বলে দিচ্ছে সমাজের তার অবস্থান কোথায়।বাশফুররা মেথর জাতের অন্তভূক্ত, তারা থাকে হরিজন পল্লীতে নওগাঁর আত্রাই সহদেশের বিভিন্ন এলাকায় বড়সড়বস্তিপল্লী গড়ে তুলে মানবেতর জীবনযাপন করেযাওয়া এক সম্প্রদায় তারা।আত্রাই উপজেলার রেলীব্রাদাস হরিজনবস্তিতে বসবাসরত বাশফুররা একেকটি ঘরে কমকরে পাঁচজন লোক থাকে।ঠিক একই অবস্থা অন্য পল্লীতেও তাদেরএই করুন জীবনেরগল্পশোনার মতো সময়ও নেই কারো।অথচ তারাইআমাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজে নিয়োজিত থেকে সহজ-স্বাভাবিককরে তুলছেন আমাদের জীবণ।হরিজন পল্লীতে বসবাস মানেই স্যানিটেশনের অবস্থা যাচ্ছেতাই,কাজের অপ্রতুল সুযোগ।সমাজ প্রচলিত
জাতিভেদ প্রথার কারণেই দেশের সাধারণ মানুষদের থেকে আলাদাহয়ে গেছে হরিজন সম্প্রদায়।বাংলাদেশের দলিত সম্প্রদায় হরিজন নামে পরিচিত,এখনো সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে পারেনি।


কলোনি ভিত্তিক জীবন-যাপন করে যাচ্ছে ব্যাপক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে। আত্রাই উপজেলার একটু বাহিরেগেলে দলিত-হরিজনরা যেনঅস্পৃশ্য। তারা পানি খেতে দোকানে গেলেও আলাদা করে গ্লাস নিয়ে যেতে হয়।এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে দেশের বৃহৎ একটি জনগোষ্টির রাষ্ট্রীয় অবদানকেঅস্বীকার করা হবে।তাই সমাজের মূলধারায় সংযোজিত করার
সংযোজিতকরার উদ্যেগগ্রহন করা খুবই জরুরী।না হলেএখনো যে অচছুৎহয়ে রয়েছে,সেই অচ।ছুৎ রয়ে যাবে।কমর্শালায় ব্যবসায়ী, সুধী আত্রাইয়ের ব্যবসায়ী, সুধী সমাজ, ইলেকট্রি ও প্রিন্ট মিয়ার সাংবাদিকউপস্থিত ছিলেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest