জয়পুরহাটে যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত l

প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১

জয়পুরহাটে যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত l

আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটে যথাযথ মর্যাদা, বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের স্মরণের মাধ্যমে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়েছে।

দিনটি আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে। ভাষার সেই লড়াইয়ের বিস্তৃতি আজ গোটা বিশ্বে। মাতৃভাষা উচ্চারণ করতে চাওয়া প্রতিটি মানুষের নিরন্তর যে লড়াই তাতে সে দিন পাকিস্তানিদের বুলেটে নিহত রফিক, সালাম, জব্বার, বরকতেরা আজ বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে তাঁদের ভাষার জন্য লড়াইয়ের শহিদ।

অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেছিল উর্দুই হবে রাষ্ট্রভাষা। আর সেই ঘোষণায় রুখে দাঁড়িয়েছিল বাঙালি। মাতৃভাষার জন্য রুখে দাঁড়ানোর সেই দিনটি ছিল ১৯৫২-র ২১ফেব্রুয়ারি।

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথম প্রহরে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাত ১২টা ১ মিনিটে জয়পুরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, জেলা পুলিশ, র‌্যাব-৫ সিপিসি-৩ জয়পুরহাট, জেলা আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ সংগঠন, সদর উপজেলা প্রশাসন, জেলা কারাগার, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জয়পুরহাট মডেল প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাসেম ময়দান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আমজাদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মো: শরীফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগেগর সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম. এম মোহাইমেনুর রশিদ, জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায়, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান সহ বিভিন্ন গণ্যমান্ন ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি বাজানো হয়। তারা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একুশের লড়াই দেশের সীমানা অতিক্রম করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সম্মান দিয়েছে। ১৯৫২-র একুশের শহিদেরা হয়ে উঠেছেন বিশ্বের প্রতিটি বর্ণমালার পাহারাদার। বাংলাদেশ ভাষার জন্য জীবনদানে পেয়েছে অনন্য স্বীকৃতি। বাঙালির নিজের রক্তে অক্ষর কেনার দিন ২১ ফেব্রুয়ারি। আজ তার কোনও সীমান্ত নেই। এ এক এমন দিন, যার অস্তিত্ব পুরো বিশ্ব জুড়ে সকল মানুষের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest