পবিপ্রবির স্তম্ভে ৩৬এফ -৬/এফ টি -৬ ভেঙে ফেলায় সব মহলে নিন্দা l

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২১

পবিপ্রবির স্তম্ভে  ৩৬এফ -৬/এফ টি -৬ ভেঙে ফেলায় সব মহলে নিন্দা l

সৈয়দ আতিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি /কুয়াকাটা বরিশাল মহাসড়কের পাগলার মোড় নামক স্থানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কয়ারে স্তম্ভে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমান ভেঙে ফেলায় নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা।

শনিবার দুপুরে পায়রা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য স্মারক যুদ্ধবিমান সংবলিত বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হয়।পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও চলমান লেবুখালী (পায়রা) সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনায় এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের।রাতে লেবুখালী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হালিম জানান, সেতু নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লং জিয়ন রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙেছে।

এদিকে স্থাপনাটিতে থাকা স্মারক যুদ্ধবিমানটি ভেঙে নষ্ট করে ফেলায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।শিক্ষার্থীরা জানান, নির্দেশক স্তম্ভটিতে থাকা স্মারক যুদ্ধবিমানটি ভেঙে না ফেলে যদি সুরক্ষিত অবস্থায় অপসারণ করা হতো, তা হলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে পুনরায় ব্যবহার করা যেত।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সেতু কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি ও অব্যবস্থাপনার কারণে স্মারক যুদ্ধবিমানটিকে ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে, যেটি অত্যন্ত নিন্দনীয়।এদিকে এ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও লেবুখালী সেতু নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ।


লেবুখালী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হালিম বলেন, স্থাপনাটি সরিয়ে নিতে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং যোগাযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
পরে ঠিকাদার স্থাপনাটি ভেঙে ফেলেছে। তবে আগে চিঠি চালাচালি করলেও হঠাৎ করে শনিবার স্থাপনাটি সরানোর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি বলেও স্বীকার করেন তিনি।প্রকল্প পরিচালক দাবি করেন, বিষয়টি নিয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তেমন আমলে নেননি।এদিকে যুদ্ধবিমানটিকে সুরক্ষিত অবস্থায় অপসারণ না করে ভেঙে ফেলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পিডি জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হতে পারে।


পবিপ্রবির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত জানান, স্থাপনাটি অপসারণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সক্ষমতা না থাকায় বিমানবাহিনীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই হঠাৎ করে নির্দেশক স্তম্ভটি ভেঙে ফেলায় তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, আমরা ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়েছি এবং মিটিং করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest