স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে আসছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১

স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে আসছে শিক্ষার্থীরা

জুলহাস উদ্দীন তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি : মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরব উপস্থিতিতে উৎসবের আমেজের মধ্য দিয়ে চলছে পাঠদান। এ চিত্র সারাদেশের মতো তেঁতুলিয়া উপজেলার স্কুলগুলোর। শিক্ষার্থীরাও দীর্ঘ দিন পর সহপাঠিদের সাথে মিলিত হতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছে তারা। বিদ্যালয়গুলো আনন্দঘন পরিবেশে পরিণত হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালান্দিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, মাঝিপাড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় বিদ্যালয়গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা হচ্ছে। তাপমাত্রা মাপার থার্মোমিটার, হ্যান্ড স্যানেটাইজার, মাস্ক ও বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন করা শ্রেণী কক্ষ। স্কুল খোলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। হাতে হাতে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের । প্রতি শ্রেণি কক্ষে পাঠদানে মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। নো মাস্ক নো স্কুল গেটে টাঙ্গানো ছিল ব্যানারে কড়া সতর্ক করা হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। আর শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে আসতে দেখা যায়। তবে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার চিত্র চোখে পড়েনি।

শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমেনা স্বর্ণা জানায়, আমরা মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে আসছি। দীর্ঘদিন স্কুলে না আসতে পেরে বদ্ধ ঘরে যেন হাপিয়ে উঠেছিলাম। খুব ভালো লাগছে কলেজে আসতে পেরে। অনেকে জানান, এই দেড় বছরে আমাদের বেশ কয়েকজন সহপাঠীর বিয়ে হয়ে গেছে। স্কুল বন্ধ না থাকলে হয়তো তাদের সঙ্গ পেতাম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা প্রতিদিন স্কুলে এসে পড়ালেখা করবে এমনও অঙ্গীকার তাদের।

শালবাহান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক কাবুল জানান, আমার বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করা হচ্ছে। প্রথম দিন ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করেছি। আর পত্যেক শিক্ষার্থী প্রবেশের সাথে সাথেই তাপমাত্রা মেপে হাতে হ্যান্ড স্যানেটাইজার দেয়া হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই তাদের মাস্ক দেয়া হচ্ছে। আর আমার প্রতিষ্ঠানে আইসোলেশন রুম করা হয়েছে। যদি কোন শিক্ষার্থী হঠাৎ করোনার কোন উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে আইসোলেশনে এনে দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমরা সরকারি নির্দেশনা পেয়ে উপজেলার স্কুলগুলো খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষক, অভিভাবক ও ম্যানিজিং কমিটির সাথে মিটিং করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্য স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest