বরিশাল লঞ্চঘাটে থ্রি হুইলার থেকে সুমনের চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন l

প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২১

বরিশাল লঞ্চঘাটে থ্রি হুইলার থেকে সুমনের চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদে  মানববন্ধন l

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশাল নৌ- বন্দরে মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে লঞ্চঘাটে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাটারখাল এলাকার সুমন ও তার সহযোগীরা গাড়ি সিরিয়াল দেয়ার জন্য চাঁদা আদায় করে আসছেন। এর প্রতিবাদে আজ সকাল ১১টার সময় সুমন ওরফে কবুতর সুমন ও তার সহযোগী ফয়সাল, রাজিব, মিলনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মালিক ও চালকরা মানববন্ধন করেন।

শ্রমিকরা জানান, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে মাহিন্দ্রা ও সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। এর মধ্যে প্রতিরাতে নৌ-বন্দর এলাকায় লঞ্চের যাত্রী পরিবহন করার জন্য আমরা গাড়ি নিয়ে আসলে সুমন ও তার সহযোগীরা সিরিয়াল দেয়ার জন্য চাঁদা আদায় করেন। আমাদের নানা সমস্যার কথা অনেকবার বলেছি ইউনিয়নকে। তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাহিন্দ্রা চালক জানান, সন্ত্রাসী সুমন বরিশাল জেলা অটো টেম্পু,অটোরিক্সা, মিশুক, বেবিটেক্সি চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন ভোর রাতে যে সকল মাহিন্দ্রা লঞ্চের যাত্রি নিয়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় ছেড়ে যায়, ওই সব মাহিন্দ্রা চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে মাসোয়ারা আদায় করেন। এছাড়াও যে সব রুটে যাত্রি বেশি হয়ে থাকে ওই সব রুটে সিরিয়ালের জন্য এক কালীন প্রতি মাহিন্দ্র থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা দিতে হয় কবুতর সুমন কে। যে সব মাহিন্দ্র চালক টাকা দিতে রাজি না হয় তাদের কে মারধর করে সুমন ও তার সহযোগীরা।

এদিকে সুমনের চাঁদাবাজি করার একটি মোবাইল রেকর্ডের ইতি মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

রেকর্ডে জানা যায়, কবুতর সুমন এক চালকের কাছে বানাড়ীপারা রুটে সিরিয়ালের জন্য ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু মাহিন্দ্র চালক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সেই চালককে হুমকি দিয়ে বলেন তোকে ৭ দিন সময় দিছিলাম কিন্তু ২০ দিন হয়ে গেছে তুই টাকা না দিলে লঞ্চঘাট এলাকায় গাড়ি চালাতে পারবি না।

অপরদিকে শ্রমিকরা জানান, কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে প্রতিমাসে মাসয়ারা দিয়ে সুমনের এমন চাঁদাবাজি চলমান রযেছে। সুমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয়। তাই চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদে আমরা সব শ্রমিক গাড়ি বন্ধ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করি। তবে এবিষয় চালকরা বিসিসি মেয়র ও পুলিশ কমিশনার এর সুদৃষ্টি কামনা করেন।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest