ছুটি ছাড়াই মানিকগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিদেশ ভ্রমণ

প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২২

ছুটি ছাড়াই মানিকগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিদেশ ভ্রমণ

মুরাদ খান মানিকগঞ্জ থেকে

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও ছুটি না নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তার এই বিদেশ ভ্রমন নিয়ে কিছুই জানেন না ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যরা। রেজুলেশন ছাড়াই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১ নং ওয়াড মেম্বার মোঃ শেখ পান্নু।

জানা যায়, উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বেলজিয়াম ভ্রমণে রয়েছেন । স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে মতে কোন প্রতিনিধি বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমতি ও ছুটি নিয়ে যাওয়ার বিধান থাকলেও তিনি তার কিছুই মানেন নি। তিনি কাউকে না জানিয়ে কোরবানির ঈদের একদিনপর কক্সবাজারের কথা বলে বেলজিয়াম শহরে ভ্রমণে রয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল কৌশলে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি নিজস্ব মোটরসাইকেল ড্রাইভার সাদুর কাছে রেখে গেছেন।
গত ২২ দিন ধরে জরুরী প্রয়োজনে ফোন দিয়ে চেয়ারম্যান জলিলকে পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল ফোন দেশে থাকলেও চেয়ারম্যান রয়েছে বেলজিয়াম শহরে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে ওই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।
ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ঈদের ২ দিন পরে চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে সালাম দিলে তার মোটরসাইকেল ড্রাইভার সাদু ফোনটি রিসিভ করে। সাদুকে চেয়ারম্যানের কথা জিজ্ঞেস করা হলে সাদু জানান চেয়ারম্যান কক্সবাজার বেড়াতে গেছেন। এরপর থেকে আমি আর চেয়ারম্যানকে দেখি নাই। তিনি আরো বলেন,চেয়ারম্যানের বাড়ি আর আমার বাড়ি পাশাপাশি আমিই জানি না চেয়ারম্যান কোথায় আছে।

সরেজমিনে পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান শুন্য পরিষদ। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন ইউপি সদস্য শেখ পান্নু মিয়া।
অলিখিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ পান্নু মিয়া বলেন, আমাকে কোন লিখিত ভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ইউএনও স্যারের মৌখিক সিদ্ধান্তে জনগণের হয়রানি কমাতে আমি দায়িত্ব পালন করছি। চেয়ারম্যানের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই।চেয়ারম্যানের মোবাইলে ফোন করলে তার মোটরসাইকেল চালক সাদু ফোন রিসিভ করে।
ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবজাল হোসেন বলেন,চেয়ারম্যানের সাথে আমার কোন ধরনের যোগাযোগ নেই। কোথায় আছে আমি বলতে পারবো না। তার কোন ছুটি নেয়া আছে কি”না তাও আমি জানি না।
এবিষয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের সাথে পরিষদে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদক ফোন দিলে সাদু নামের লোক ফোন রিসিভ করে। সাদু নামের ওই লোক বলেন,চেয়ারম্যান ২২ দিন ধরে কক্সবাজার আছেন। তিনি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের জন্য আরেকটি ফোন নাম্বার দেন। কিন্তু ওই নাম্বারে ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিস্বর পাল বলেন, তিনি কোন ছুটি বা অনুমোদন নেননি।যদি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অলিখিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আর্থিক লেনদেন বিষয় ছাড়া অন্যান্য কাজ করতে পারবে বলে তিনি জানান।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest