নওগাঁয় মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় স্বামী স্ত্রীর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২৩

স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলার নুরপুর এলাকার আফসার আলী ও তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে পঁাচ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিশ হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বেগুন গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে জেলার সাপাহার থানার সাপাহার গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ওসমান গনির সাথে আফসার আলীর গন্ডগোল হয়। গন্ডগোলের সূত্র ধরে মনোয়ারা খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আফসার আলী তাকে দিয়ে ওসমান গনির বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের ৬ এপ্রিল সাপাহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৪৫ ঘটিকার সময় সাপাহার বাজার হতে উকিলপাড়া যাওয়ার পথে তিলনা রোডের জনৈক আফিল উদ্দিনের বাড়ির নিকট পৌছলে ওসমান আলী পিছন দিক থেকে মনোয়ারা খাতুনকে জাপটে ধরে রাস্তার পূর্ব পাশে চাতালের মধ্যে নিযে যেয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা আছে মর্মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমান শেষে ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত বেগুন গাছ কাটা জের ধরে এই মামলাটি মিথ্যা ভাবে দায়ের করা হয় পর্যবেক্ষন দিয়ে ওসমান গনিকে আদালত খালাস প্রদান করেন। পরবর্তীতে ওসমান গনি ২০১৩ সালে ১১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করায় আফসার আলী ও মনোয়ারার বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আদালত আফসার ও মনোয়ারা খাতুন উভয়কেই পঁাচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় । আদালতে উপস্থিত আফসার আলীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা সহ গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।

রাষ্ট্র পক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ও আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল লতিফ মামলা পরিচালানা করেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest