সরকারী খাস জমি ২২ বছর ধরে বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে দখল, প্রশাসনের ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ

প্রকাশিত: ১০:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৩

সরকারী খাস জমি ২২ বছর ধরে বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে দখল, প্রশাসনের ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরে বারবাকপুরে সাধারন মানুষের চলাচলের রাস্তা দেয়াল দিয়ে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় মাওলানা মো. কবির উদ্দীনের বিরুদ্ধে সরকারী খাস জমি দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল তুলে জমি দখলের এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এসিল্যান্ডের নির্দেশেও ভাঙ্গছেন না অবৈধ বাউন্ডারী ওয়াল। তার ক্ষমতার উৎস কোথায়? স্থানীয় মানুষ ও সরকারী নির্দেশ না মানায় মুলত সরকারকে বৃদ্ধঙ্গুলী প্রদর্শন করেছেন তিনি।
অভিযোগের সুত্রে ঘটনাস্থালে গিয়ে দেখা যায় সরকারী জমি দখল করায় জনগনের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত হয়ে আছে। গত ২২ বছর ধরে সরকারী জমি দখল করে রেখেছেন তিনি। কারও কোন অনুরোধেও তোয়াক্কার করছেন না তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা বলেন, জনগণের চলাচলের অসুবিধার কথা জানিয়ে আমি নিজে তাকে অবৈধ দেয়াল অপসারণের জন্য অনুরোধ করছি। কিন্তু তিনি কারো কথা শুনেন নাই। এমনকি গত ২৫ জুলাই সরকারের ৭ দিনের নোটিশ পেয়েও এবং সরকারের খাস জমি দখলের কঠোর শাস্তি বিধানের কথা জেনেও এখন পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা সরানোর কোন ব্যাবস্থা নেন নি। তিনি ওয়াল ভেঙ্গে দিবেননা বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যেই দেয়াল অপসারন না করতে উপজেলা প্রশাসনে ছোটাছুটি করছেন। তার এমন ঔধ্বতপূর্ণ আচারনে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। তাদের প্রশ্ন কার অদৃশ্য ইশারায় তিনি সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছেন? তার খুটির জোর কোথায় ?

মাদ্রসার পরিচালক মাওলানা মো. কবির উদ্দীন ফোনে জানান, তিনি অফিসিয়াল কাজে রাজাপুর আছেন। তবে তিনি সরকারী জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল অপরসারন করতে রাজাপুর এসিল্যান্ডের নোটিশ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন। তবে যে জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল দেওয়া হয়েছে সে জমি সরকারী হলেও এটা তাদের দান করা জমি। অথচ স্থানীয়রা বলেন, সি এস নকশাতেও এটি ৩৫ ফুট রাস্তা। যা ব্রিটিশ সরকারের আমল হতে দেওয়া হয়েছে।

এছারা, তিনি তার বারিতে একটি গরুর খামার পরিচালনা করে আসছেন। সেখানে গরুর পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা পরিবেশের অনুকুলে ছিলনা। গরুর মল(গোবর) গর্ত না করে পাশেই ফেলে রাখছে। পরে শুকিয়ে গেলে সার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন।
গরুর গোবর এভাবে খোলা স্থানে রেখে দেওয়ায় ঐ স্থানে ডেংঙ্গু মশার লার্ভা থাকতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা। এতে মহামারী ডেংগুসহ নানা প্রকার রোগ ব্যাধী হতে পারে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest