কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ স্থায়ী বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা।

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৪

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ স্থায়ী বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা।

সাইফুর রহমান শামীম কুড়িগ্রাম ।। কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতে মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছপানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ স্থায়ী বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।জেলা কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রাম অঞ্চলের কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষজন। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর বাড়ির ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় এলাকার কৃষক ছমির আলী বলেন, “আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনও বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।”একই এলাকার কৃষক মোস্তাফা বলেন, “বানের পানিতে এখনও সব জমি তলিয়ে আছে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এবার আমাদের এলাকার কৃষকরা কেমন করে আবাদ করবে চিন্তায় বাঁচে না।”কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের নয় উপজেলায় কৃষি সেক্টরে ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে পরামর্শ দিচ্ছি।”এদিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) মো. রাকিবুল হাসান বলেছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোন পূর্বাভাস নেই।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest