নববধু চম্পা হত্যা মামলার আরেক আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০

নববধু চম্পা হত্যা মামলার আরেক আসামী গ্রেফতার

বরগুনা প্রতিনিধি :-  কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামুরীবুনিয়া গ্রামের স্বামী বাবুল হাওলাদারের হাতে নববধু চম্পা হত্যা মামলার অন্যতম নারী আসামী কহিনুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে বরগুনার তালতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার পুলিশ তাকে কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। অপর গ্রেফতারকৃত আসামী কুদ্দুস হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আদালতের বিচারক সোভন শাহারিয়ার মঙ্গলবার শুনানী দিন ধার্য্য করেছেন। জানাগেছে,পয়েলা জানুয়ারী তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের চাঁন মিয়া সিকদারের কন্যা চম্পাকে পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামুরীবুনিয়া গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে বাবুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। গত ১৫ জানুয়ারী (বুধবার) নববধূকে তুলে নেয়ার কথা ছিল। ১২ জানুয়ারী (রবিবার) রাতে স্বামী বাবুল হাওলাদার শ্বশুরবাড়িতে এসে নববধূ চম্পাকে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নববধূ চম্পা ও তার স্বামী বাবুল নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় চম্পার বাবা চাঁন মিয়া সিকদার গত ১৪ জানুয়ারী তালতলী থানার জামাতা বাবুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ডারেয়ী করেন। নিখোঁজের ১০ দিন পরে গত বুধবার (২২ জানুয়ারী) নববধু চম্পার মরদেহ কলাপাড়া থানা পুলিশ জামাতা বাবুল হাওলাদারের বাড়ীর সন্নিকটে বিলের মধ্যে মাটি চাপা দেয়া অর্ধ-গলিত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিনই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুদ্দুস হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার রাতে এ ঘটনার অন্যতম নারী আসামী ঘাতক বাবুল হাওলাদারের প্রথম স্ত্রী কোহিনুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত চম্পার বাবা চান মিয়া সিকদারের অভিযোগ আসামী মাহবুব গাজীকে তালতলী থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেলে ওসি শেখ শাহিনুর রহমান তাকে ছেড়ে দেয়। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, নববধু চম্পার হত্যা মামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামী কোহিনুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামী কুদ্দুসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তালতলী থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান মুঠোফোনে বলেন চম্পার বাবা সাধারণ ডাইরি করার পর মাহবুবকে জিগ্যেসা বাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাকে মুছ লেখায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ ডাইরি হলে আমার তাকে গ্রেফতার করতে পারিনা এখন চম্পা হত্যা মামলা হয়েছে কলাপাড়া থানায়। কলাপাড়া থানার ওসির সাথে যোগাযোগ রেখে আসামী মাহবুবকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest