দিনাজপুরে গত ২৪ ঘন্টায় পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২০

দিনাজপুরে গত ২৪ ঘন্টায় পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু
চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ বিশেষ প্রতিনিধি, দিনাজপুর
দিনাজপুরে গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ বছরের এবং ৯ বছরের শিশু ও অপরজন ৪১ বছর বয়সের একজন পুরুষ। গত সোমবার (৮ জুন) দুপুর আড়াই ঘটিকার দিকে উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের কাজীপাড়ার মোঃ আনিছুর রহমানের মেয়ে আনিকা (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মৃত আনিকা পাড়ার অন্যান্য শিশুদের মতোই বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নেমে কিছুক্ষন পর সে পানিতে তলিয়ে গেলে পাড়ার লোকজন অনেকেই অনেক খোজাখুজির পর তার মরদেহ উদ্ধার করে। এব্যাপারে চিরিরবন্দর থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার (৯ জুন) সকাল ৬ ঘটিকায় উপজেলার মোহনপুর রাবারড্রাম ব্রীজের নিচে আত্রাই নদীতে মৃত পুতুল মাষ্টার এর মরদেহ দেখতে পায় ওই এলাকার স্থানীয়তা। নিহত পুতুল মাষ্টার উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দীকের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আত্রাই নদীতে মোহনপুর রাবারড্রাম ব্রীজের নিচে ভোর ৪ টায় জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে নদীর পাকে জাল ফেললে পানির স্রোতে জাল টেনে নিয়ে গেলে সে জালের সাথেই পানিতে তলিয়ে যায়। পরে সকাল ৬ ঘটিকারর দিকে তাঁর মৃতদেহ পানিতে ভাসলে স্থানীয়রা তাঁর লাশ উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দেয়। এবিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার। অপরদিকে মামার সাথে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নদীর পানির গভীরে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে ৯ বছরের শিশু যুথী। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার ৮ জুন সকাল ১১ টায় দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের কৃষ্ট চাঁদপুর গ্রামে। নিখোঁজ যুথী পৌর শহরের ইসলামপাড়া মহল্লার কবির হোসেনের মেয়ে। যুথীর মামা শাকিব হোসেন বলেন, ভাগ্নি যুথী মায়ের সাথে বেড়াতে আসে। ঘটনার দিন এবং সময় যুথী তার (শাকিব হোসেন) সাথে বাড়ী সংলগ্ন ছোট যমুনা নদীতে গোসল করতে যায়। এরই এক পর্যায়ে সে পানিতে নামার মুহুর্তেই পানির স্রোতে গভীরে তলিয়ে যায়। পরে নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও যুথীর কোন সন্ধান করা যায়নি। পরে বিরামপুর দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে দীর্ঘ সময় নদীর পানিতে খোঁজাখুঁজি করেও যুথীর সন্ধান করতে পারেনি। বিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই তারা নদীতে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। কিন্তু নদীর পানির স্রোত বেশী থাকায় এবং উদ্ধার কাজ পরিচালনার মতো তাদের কাছে তেমন কোন সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য রংপুর থেকে ডুবুরীকে জানানো হয়েছে তারা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest