ঢাকা ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২০
মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি বছরের প্রথম দিন সারাদেশে বিনামূল্যের বই বিতরণ উৎসব শুরু হলেও বরগুনার তালতলী উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে একটু ভিন্ন চিত্র। শনিবার সকাল থেকে কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, বিনামূল্যের বই বিতরণের বিনিময়ে টাকা তুলতে। টাকা তোলায় এমনই ব্যস্ত জাতীয় পতাকা ওড়াতে ভুলে গেছেন তারা। অভিভাবকদের অভিযোগ, যেখানে সরকার বছরের শুরুতে পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণের সুযোগ করে দিয়েছে সেখানে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করা হয়েছে চাঁদা। নতুন বই বিতরণের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের দাবি, বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণে কোন অর্থ আদায় করা হয়নি। তবে স্কুলের বার্ষিক ফি, ভর্তি ফি, স্কাউট ফি, বই বিতরণের ছবি তোলার কথা বলে টাকা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার ৫২ নং নিদ্রার চর ও মরা নিদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। মরা নিদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জান্নাতী, মাহমুদা ও ৫২ নং নিদ্রার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মারুফা, মুসা, কারিমাসহএ কাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের নিকট থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে নতুন বই দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এ চাঁদার টাকা আদায় করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের (২০০ জন) নিকট থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ৫২ নং নিদ্রার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল ছালাম বলেন, ‘বার্ষিক ফি, ভর্তি ফি, স্কাউট ফি, বই বিতরণের ছবি তোলার কথা বলে টাকা নেওয়া হচ্ছে।’ জাতীয় পতাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাচ্চারা খুলে রেখেছে মনে হয়।’ মরা নিদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তাইজুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘আমার স্কুলের ১১০ জন ছাত্র-ছাত্রী, তাদের সবার নিকট থেকে ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। স্কুলে বিভিন্ন খরচা আছে। আর বই বিতরণের ছবি রেজিষ্ট্রার খাতায় তোলার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।’ এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলম বলেন, ‘বই বিতরণের জন্য কেউ কোন ধরনের টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মিঞা বলেন, ‘টাকা তোলার বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিনামূল্যে বই বিতরণের জন্য জন্য কেউ টাকা তুলতে পারবে না।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST