মোঃ হাইরাজ, বরগুনা প্রতিনিধি।। যে হাত দু’টি হতে পারতো ভিক্ষুকের হাত, সেই দু’টি হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করেছেন অসহায় দরিদ্র প্রতিবন্ধী বাবুল ঘোষ (৫২)। তালতলী বাজারে সবাই তাকে ঘোষ বলেই ডাকেন। ২১ বছর বয়সে গ্যাংরিন রোগে আক্রান্ত হয় প্রথমে পায়ের আঙুল ও পড়ে হাটুর উপরে থেকেই পা দুটো কেটে ফোলতে বাধ্য হয়। পেশায় তিনি একজন চায়ের দোকানি । শারীরিক, মানসিক, অর্থকষ্টসহ নানা সমস্যাও দমাতে পারেনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এই বাবুল ঘোষকে। ১শতাশং বসতভিটায় ছোট জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরে এখানেই দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে কোন রকমে বসবাস করছে তিনি। চা পান বিক্রি করে অভাব অনটনের মধ্যে চলছে তার জীবন ও সংসার। অসুস্থ শরীর ও সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিবন্ধী বাবুল ঘোষের। একাধিক এলাকা বাসী বলেন বাবুল ঘোষ স্ত্রী সন্তান নিয়ে যে ঘড়ে বসবাস করে তার চেয়ে কবর ও ভালো জায়গা। একটি কুড়ে ঘর আছে ছাউনি টিন ঝাঁঝরা হয়ে গেছে । বৃষ্টি হলেই বসে থাকতে হয় ঘড়ের এক কোনে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহাদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকা বাসী । তবে প্রতিবন্ধী হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি কোন ভিক্ষা বৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন নি, এটা একটা উজ্জ্বল নিদর্শন। বাবুল ঘোষ দুঃখের সাথে বলেন, আমার স্ত্রী সন্তান সন্তান দের নিয়ে। তিন বেলা পেটভরা খাবার খেতে না পারলেও সমাজে আত্মমর্যাদার সাথে বেঁচে আছি, এভাবে মরে গেলেও ভিক্ষা করবো না। বাবুল ঘোষের এখন সব চেয়ে বড় চিন্তা হলো সন্তান দের জন্য লেখা পড়া, তাদের মাথা গোঁজার একটু ঠাই। বাবুল ঘোষের সকল কাজ করে থাকেন তার স্ত্রী বাবুল ঘোষের স্ত্রী মঞ্জু রানী বলেন,আমার স্বামী যেমনই হোক আমার কাছে তিনি দেবতা, আমাকে অনেকই বলেছে তাকে ফেলে চলেযেতে। আমি যাইনি, কারণ আমার স্বামীর পরিবর্তে যদি আমার দুইপা কেটে ফেলা হত,তাহলে কি করতাম। আমাদের এই কষ্টের কথা মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌছবে কিনা জানিনা । যদি মায়ের কাছে পৌছায় তবে একটু দাবী করব মায়ের কাছে। আমাদের দুঃখের দিনে একখন্ড জমি আর একটু মাথা গোঁজার ঠাই যদি পেতাম তাহল কিছুটা হলেও আমাদের কষ্টটা লাঘব হতো।