বানারীপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার রহস্য দ্রুত উদঘাটনে ওসির সম্মাননা লাভ

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

বানারীপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার রহস্য দ্রুত উদঘাটনে ওসির সম্মাননা লাভ

ইরফান সুজন, স্টাফ রিপোর্টার, বরিশালঃ বানারীপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের মূল রহস্য দ্রুত উদঘাটনে এবং ঘাতকদের গ্রেফতারে দূরদর্শিতা ও দক্ষতার জন্য থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিশির কুমার পালকে তার সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ে মাসিক সভায় ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম তার হাতে এ সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এ কে এম এহ্সান উল্লাহ, রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান , বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম(বার), ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হাসান পিপিএম (বার), পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান, ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ও পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বানারীপাড়ায় প্রবাসীর বৃদ্ধা মা ও ভগ্নিপতিসহ একই পরিবারের তিনজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। উপজেলার সলিয়াবাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আ. রবের বাসায় এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরদিন ভোরে প্রবাসী হাফেজ আ. রবের বাসা থেকে তার বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগম(৭৫), ভগ্নিপতি সফিকুল আলম (৬৫)ও বাড়ির পুকুর থেকে খালাতো ভাই ইউসুফের (২২) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পরপরই ঘটনাস্থল নির্মাণ শ্রমিক জাকির হোসেনকে ও ওই দিন রাতে তার সহযোগী জুয়েলকে বরিশাল শহর থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করলে ট্রিপল মার্ডারের দায় স্বীকার করে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই দিন প্রবাসীর স্ত্রী মিসরাত জাহান মিশুকে গ্রেফতার করা হয়। প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিক জাকির হোসেনের পরকীয়া প্রেমকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে আসামীদের জবানবন্দীতে প্রমাণিত হয়।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest