নদীর্গভে বিলিনের পথে কীর্তনখোলা পাড় ঘেষা গাজী বাড়ি,কতৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষন।

প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৯

নদীর্গভে বিলিনের পথে কীর্তনখোলা পাড় ঘেষা গাজী বাড়ি,কতৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষন।

তানিম হাসান ইমন : বরিশালে নদীগর্ভে বিলিনের পথে কীর্তনখোলা পাড় ঘেষা, ২৪ নং ওয়ার্ডের গাজি বাড়ি এলাকা।জানা যায়,এটা দপদপিয়া ব্রিজের নিচ দিয়ে অবস্থিত।চরম আতংকে দিনযাপন করছে এই এলাকার বাসিন্দারা।প্রায় ৩০০ লোক নিয়ে জুড়ে গাজিবাড়ি এলাকা।এখানে বসবাস করে,অসহায়,দিনমজুর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।তাদের শেষ সম্বল এখন এই নদীর পাড়ের ভিটে জমিটুকু।প্রায় ২০ বছর আগে থেকে ভাঙন শুরু করে দপদপিয়া ব্রিজের নিচে অবস্থিত গাজী বাড়ি এলাকা।তাদের অধিকাংশ বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেলেও কতৃপক্ষের কোন টনক নড়েনি।বরংচ আতংকিত ভাবে জীবনযাপন করে আসছে এই এলাকার বাসিন্দারা।দেখা জায়,মন্ত্রী,এমপি,চেয়ারম্যানরা অন্য সকল এলাকার ভাঙন পরিদর্শন করলেও, তাদের দৃষ্টি কাড়েনি ২৪ নং ওয়ার্ডের এই অসহায় পরিবার গুলোর দিকে।গাজী বাড়ি এলাকার এক ভুক্তভোগী বাসিন্দা জানায়,আমরা দীর্ঘ বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছি।আমাদের জমি নদীতে বিলীন হতে হতে আজকে শেষ সম্বল নিয়ে বেচে আছি।আমাদের এই এলাকায় ৫০ থেকে ৫৫ টি পরিবারবর্গ বাস করে।তাদের সকলের ঘরে ছেলে মেয়ে এবং ভবিষ্যৎ রয়েছে।যদি এভাবে দিন দিন নদীর সাথে আমাদের জীবন দিয়ে দিতে হয়,তাহলে আমাদের ছেলে সন্তানের কি হবে।আমরা কোথায় জাবো।বরিশালে মন্ত্রী,এমপি গো দেখি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন যায়,শুধু আমাদের ভাঙনকুল তাদের চোখে পড়েনা।এমন অবস্থায় আমরা গোটা এলকাবাসী চরম আতংকে দিন কাটাই।আমরা চাই আমাদের এই এলাকা পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন অনাথায় আমরা অসহায় হয়ে মৃত্যু পথে অগ্রসর হবো।ঠিক এভাবে বলছিলেন এলাকার এক বাসিন্দা। এছাড়া সরোজমিনে গিয়ে দেখা জায় বড় কোন ঝর-বন্যা হলে,তাদের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে জাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে ২৪ নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা জানায়,আমাদের গাজীবাড়ি এলাকার অবস্থা খুবিই ঝুর্কিপুর্ন।আমরা চাই মাননীয় মন্ত্রী,এমপি এবং জনপ্রতিনিধি যারা আছেন,খুব শীঘ্রই এই এলাকাটা পরিদর্শন করে অসহায় পরিবার গুলোকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করবেন। এছাড়া ভুক্তভোগী এলাকাবাসী তাদের পরিবার কে রক্ষা করতে দ্রুত ভাবে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করার কথা জানিয়েছেন।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest