নীলফামারীর ৬ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারা দেশের ন্যায় ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত: ১১:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০

নীলফামারীর ৬ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারা দেশের ন্যায় ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,রংপুর ব্যুরোঃ ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল ঘিরে জেলার সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে আনন্দঘন পরিবেশে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিতে ১৩ ফেব্রæয়ারী তফশিল ঘোষনা করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তফশিল ঘোষনার পর থেকে শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনমুখি হয়ে বিদ্যালয়ের সকল ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনাও করেন। তফশিল অনুযায়ী মনোনয়ন আহবান করা হয় ১৩ ফেব্রæয়ারী,মনোনয়ন ফরম জমাদান ১৬ ফেব্রæয়ারী,মনোনয়ন যাচাই বাছাই ও বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৭ ফেব্রæয়ারী,মনোনয়ন প্রত্যাহার ও চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৮ ফেব্রæয়ারী। ভোট গ্রহনের তারিখ ২৩ ফেব্রæয়ারী ঘোষনা করা হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহনের নির্দেশনা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন শুরু করেছে সকাল ১০টা থেকে। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহনের শেষ সময় থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী থাকায় ভোট গ্রহন শেষ হয় বিকালের দিকে। ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা গেছে জাতীয় নির্বাচনের মতই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও গণতন্ত্র চর্চা করার জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লাইনে দাড়িয়ে সুন্দরভাবে ভোট প্রদান করেছেন। প্রার্থীরাও নিজের বিজয়ের জন্য ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। ভোটের জন্য প্রায় স্কুলে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শিক্ষার্থীরা মিছিল ও দফায় দফায় বৈঠকও করেছেন। স্কুলে ক্লাশ চলাকালীন সময়েও অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন ক্লাশে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রার্থীরা নিজের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নিয়েও অনেক প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন ভোটারদের মাঝে। মাঝে মাঝে ভোটরদের মাঝে চুপে চুপে চকলেট বিতরণ করে ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা করেছেন শিক্ষার্থীরা। কাউন্সিলকে ঘিরে স্কুল প্রধানদের ব্যস্ততা ছিল চোঁখে পড়ার মত। ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল পরিদর্শনে শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে গঠন করা প্রধান নির্বাচন কমিশনার সর্বদা ছিল তৎপর। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে অধিদপ্তরের দেয়া চ্যানেল জিপিএস’র সংবাদ কর্মীর উপস্থিত ছিল চোঁখে পড়ার মত। সংবাদকর্মী চ্যানেল জিপিএস’র মনোগ্রামযুক্ত মাইক্রোফোনে প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেন। নির্বাচনের সুষ্ঠ্যু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের দ্বারা গঠিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা গঠন করা হয়। ভোট কেন্দ্রে সার্বিক ভাবে উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ,র‌্যাব ও আনসার ভিডিপি সদস্য। নির্বাচনের অবকাঠামো দেখে মনে হয়েছিল যেন জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয়,শরীফাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাগুড়া দর্জিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নয়ানখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘূরে দেখা গেছে নির্বাচনের আনন্দঘন পরিবেশে ভোট গ্রহনের ব্যতিক্রমী চিত্র। ভোট কেন্দ্রে প্রবেশদ্বার গুলোতে শিক্ষার্থীদের দ¦ারা গঠিত পুলিশ সদস্যরা প্রত্যেক ভোটারদের আইডি চেক করে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। যা জাতীয় নির্বাচনেও দেখা যায়নি। শরীফাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নির্বাচন উপদেষ্টা আইয়ুব আলী জানান, ভোট গ্রহনের পূর্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে বড় ধরণের ঝগড়া বেধে যায়। খবরটি পেয়ে দেখি ভোটের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ঝগড়া মিমাংশা করে সুষ্ঠ্যু পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি আমার খুব ভাল লেগেছে। নয়ানখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলফামারী জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক গোলাম মওলা জানান,শিক্ষার্থীরা যেভাবে ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল করে নিজেকে গণতন্ত্রচর্চার চেষ্টা করছেন,এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে তাদের মধ্যে নির্বাচন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিশ্রদ্ধাশীল হবে এ দিকে ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেন,উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন,সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান,ফারুক হোসেন,রুহুল আমিন ও নিলুফা ইয়াসমিন। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন বলেন, বিকালে সকল প্রতিষ্ঠানে বিজয়ী প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আনন্দের মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest