ঢাকা ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২০
মোঃ সাগর মল্লিক, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সাজানো মামলায় জেলে গেছে ছেলে। এ খবর শুনে তার বৃদ্ধ মা স্ট্রোক করে এখন মৃত্যুশয্যায়। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের রোষানলে ওই পরিবারের নারী ও শিশুরা ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছে। এসব অভিযোগ তুলে ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলেন করেছেন অসহায় ওই পরিবারের সদস্যরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে গৃহবধূ পুতুল বড়াল জানান, তার স্বামী অনাদী বড়াল (৫১) একজন সরকারি চাকুরিজীবী। উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোড়া নালুয়া গ্রামে দুই কন্যা ও এক ছেলে নিয়ে তাদের বসবাস। এলাকায় তাদের পরিবারের সুমান ও সুখ্যাতি আছে। দীর্ঘদিন তাদের গ্রামে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ রয়েছে। তার স্বামী সমাজের অন্যান্যের ব্যক্তিদের সাথে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন। অপরদিকে বিরোধী পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের উৎসব বৈরাগী, ভজন মজুমদার, মৃনাল হালদার ও পংকজ মজুমদার। তারা তার স্বামীকে ঘায়েল করার জন্য একই গ্রামের মৃত-গোসাই লাল মজুমদারের বিধবা স্ত্রী স্মৃতিকণা মজুমদারকে দিয়ে তার স্বামী অনাদী বড়াল ও একই গ্রামের অর্জুন বাড়ই এর নামে সম্পূর্ণ সাজানো একটি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় বর্তমানে তার স্বামী অনাদি বড়াল ও অর্জুন বড়াল জেল হাজতে রয়েছে। ছেলের নামে এ মামলার খবর শুনে তার শাশুড়ী চম্পা বড়াল স্ট্রোক করে এখন মৃত্যুশয্যায়। বর্তমানে তারা প্রতিপক্ষের রোষানলে স্বপরিবারে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছে। তাই তিনি প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটন ও ন্যায় বিচার পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে রিনা রানী বড়াল ও পুত্র বাঁধন বড়াল। এ ব্যাপারে উৎসব বৈরাগী সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনাদি বড়ালের সাথে আমার কোন ব্যাক্তিগত বিরোধ নেই। আমি সব সময় বাগেরহাটে থাকি। তবে যতদুর জানি এলাকায় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে দুটি পক্ষের বিরোধ রয়েছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST