মোল্লাহাটে স্কুল ছাত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০

মোল্লাহাটে স্কুল ছাত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

মোঃ সাগর মল্লিক (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:- বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিপুল, চঞ্চল ও শিপন নামে তিন বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে রাস্তা থেকে টেনে- হিছড়ে শ্রমিক কার্যালয়ে আটকে জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তা ও (দোকান নামক) শ্রমিক কার্যালয়ে গত শনিবার দুপরে ন্যাক্কার জনক এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ঘটনার দিন (শনিবার) সন্ধায় ভিকটিমের বাদীত্বে মোল্লাহাট থানায় অভিযোগ করা হযেছে। অভিযুক্ত যুবকরা হলেন নগরকান্দি গ্রামের মৃত ইলিয়াছ শেখের ছেলে-বিপুল, ফেলা শেখের ছেলে চঞ্চল ও মুত আয়েব শেখের ছেলে শিপন। নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী (ভিকটিম) জানায়- ওই দিন সকালে বাড়ি থেকে অতি সামান্ন নাস্তা করে স্কুলে যায়, খিধের কষ্টে এবং টিফিনের সুযোগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে নিকস্থ বাড়ির দিকে খাবার খেতে রওনা/যাত্রা করি। ওই সময় স্কুল সংলগ্ন রাস্তা থেকে ওই তিন যুবক টেনে হিছড়ে দোকানের মধ্যে নিয়ে ঝাপ আটকিয়ে দেয়। চঞ্চল ও শিপন দোকানের বাইরে পাহার দিচ্ছিলো, আর বিপুল ওরফে মাটি আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি নিজেকে রক্ষায় ক্ষমা চাই এবং ধ্বস্তা-ধস্তি করি। এসময় আমাকে ধাক্কা মেরে দেয়ালে ও টেবিলে লাগানোতে ব্যাথা পাই, আমার ওড়না টেনে ফেলে দেয়, যাতে আমার ওড়নার ক্লিপ ভেঙ্গে যায়। এভাবে কিছু সময় গেলে বাহির থেকে ওই দুই জন বলে তোর কাজ হইছে, তাহলে বাইরে আয়, আমরা আসবো …। তখন বিপুল বলে আরে রাজি হচ্ছে না, আর একটু সময় লাগবে। এক পর্যায়ে আশ- পাশের লোক-জন ও মুরাদ স্যার আসলে ওরা চলে যায়। পরে আমি বাড়ি এসে আমার মা’কে জানাই। আমি এর বিচার চাই। এসকল কথা বলা কালে ভিকটিম কাদছিলো। ভিকটিমের মা-বাবা জানায়,তারা অত্যন্ত গরীব ও অসহায়। তাদের এমন সর্বনাশ কিভাবে তার সামলাবে ? টাকা ছাড়া কি বিচার পাওয়া যায় ? আমরা কি বিচার পাবো … ? স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির বিশ্বাস ও কবির কাজী বলেন-তারা এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চান। এতে তারা ওই পরিবারকে সহযোগীতা করবেন। ওই স্কুল শিক্ষক মুরাদ হোসেন জানান, তিনি নিজে এসে ওই ঘর থেকে মেয়েকে বের করেছেন, পরে স্কুলেও নিয়ে ছিলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা হয়েছে। কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মোঃ বাবলু মোল্লা বলেন, এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত। মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী গোলাম কবীর বলেন-তিনি অভিযোগ পেয়েছেন এবং আইনানুগ ব্যাবস্থা


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest