যশোরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত মণিরামপুরে

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২০

যশোরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত মণিরামপুরে
উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর(যশোর) প্রতিনিধিঃ  যশোরে প্রথমবারের মতো এক করোনা রোগী শনাক্ত হলো। তিনি মণিরামপুরের স্বাস্থ্যকর্মী। আজ রোববার কিছু সময় আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগ পর্যন্ত যশোর জেলায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মণিরামপুরে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হওয়া ওই স্বাস্থ্যকর্মী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি ঝাঁপা ইউনিয়নে কর্মরত। বর্তমানে তিনি মুজগুন্নি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ায় সেই ভাড়াবাড়ি, মশ্মিমনগরে তার নিজের বাড়ি এবং মুজগুন্নিতে শ্বশুরবাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানিয়েছেন। মণিরামপুর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) আনিসুজ্জামান জানান, এখন পর্যন্ত এই হাসপাতাল থেকে ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোরের সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে একজনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি একজন স্বাস্থ্যকর্মী। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে সন্দেহভাজন ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনায় পাঠানো হয়েছিল। তারমধ্যে একজনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী। ডা. শুভ্রা আরো বলেন, যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসছে। তাকে সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে তার চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ওই স্বাস্থ্যকর্মী যাদের সঙ্গে মিশেছেন সেই ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি লকডাউন করা হবে। এদিকে, মণিরামপুর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) আনিসুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, মণিরামপুর হাসপাতালে পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ রয়েছে। আমরা দুইজন ল্যাবে নমুনা সংগ্রহের কাজ করি। কিন্তু আমাদেরকে মাত্র একটি পিপিই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো এন-৯৫ মাস্ক দেননি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ। বিষয়টি তাকে জানানো হলেও তিনি মাস্ক দেননি। বরং চাকরির হুমকি দিয়েছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে কাজ করছি। তবে আনিসুজ্জামানের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন উপজেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest