বরিশালে শের-ই বাংলা মেডিকেলের গেট বন্ধ করে দিলো স্থানীয় জনগন

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২০

বরিশালে শের-ই বাংলা মেডিকেলের গেট বন্ধ করে দিলো স্থানীয় জনগন
পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মকেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই হাসপাতালের পিছনের গেট বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা। আজ (শনিবার) সকালে স্থানীয় যুবকরা জড়ো হয়ে বাঁশ বেধে গেটটি আটকে দিয়েছেন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন শেবাচিমের ডাক্তার, নার্স, স্টাফ ও রোগীরা। বরিশাল নগরীতে বসবাসকারী শেবাচিমের ডাক্তার, ইন্টার্ন চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্মচারী এই গেট ব্যবহার করে আসা যাওয়া করে। পাশাপাশি রোগী প্রবেশের জন্যও এটি একটি সহজ পথ। কিন্তু গেটটি বন্ধ করে দেওয়ায় কমপক্ষে ৩ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে তারপর সামনের গেট থেকে ঢুকতে হচ্ছে মেডিকেলের সামনের গেট থেকে। এতে করে যেমন নষ্ট হবে রোগী সেবার সময়, তেমনি দ্রুত হাসপাতালে ঢুকতে না পেরে ঝুঁকিতে পরবে রোগীরা। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সকালে কমপক্ষে ১০ জন নার্স, ৪/৫জন ডাক্তার এই গেট থেকে ঢুকতে দেয়নি স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বাধা দিয়ে তাদের ফেরৎ পাঠিয়েছেন। শেষে বাংলাবাজার, পুলিশ লাইন্স, ডিসি লেক, বান্দ রোড ঘুরে মেডিকেলের সামনের গেট থেকে প্রবেশ করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্স বলেন, আমিসহ কয়েকজন ওই গেট থেকে নিয়মিত যাতায়াত করি। কিন্তু আজ সকালে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। শেষে অনেক কষ্ট করে অনেক পথ হেটে সামনের গেট থেকে ঢুকতে হয়েছে। ওই নার্স জানান, আমার সাথে যারা গেট আটকে দিয়েছিল তারা রুঢ় আচরণ করেছেন। আরও কয়েকজন স্টাফ, নার্স ও ডাক্তারকে গেট থেকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে দেখেছেন তিনি। হাসপাতালের আরেক নারী চিকিৎসক জানান, আমিসহ বেশ কয়েকজন ডাক্তার পিছনের গেট সংলগ্ন বাসা ভাড়া করে থাকি। কিন্তু আমাকেও আজ ওই গেট থেকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এতে করে আমিও যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছি; তেমনি রোগীদের সেবা দিতেও সময়ক্ষেপন হচ্ছে। তিনি মনে করেন, লকডাউন মানে কোন সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা নয়। হাসপাতালের গেট যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে ডাক্তার যাবে কােথা থেকে। রোগীদের সেবা দিবে কিভাবে? ওদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খানের নির্দেশনা মোতাবেক, লকডাউনে কোন সড়ক বন্ধ করা যাবে না। জরুরী প্রয়োজন, এ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ/বাহির প্রভৃতি কাজের জন্য সকল সড়ক খোলা রাখতে হবে। সেজন্য কিছুদিন আগে লকডাউনের নামে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে, বাঁশ বেধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে তা কোতয়ালী থানা পুলিশ গিয়ে অপসারন করে আসে। কিন্তু প্রশাসনের সেইসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাঁশ বেধে গেট আটকে দেওয়া হলো শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। বিষয়টি নিন্দনীয় বলছেন সচেতনরা। এ বিষয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হােসেন বলেন, বিষয়টি আমি কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। কেন, কারা করলো তাও জানা হচ্ছে। তিনি বলেন, হাসপাতালেতো করোনা আক্রান্ত রোগী আছে। ছাত্র হোস্টেলের কেউ আক্রান্ত শুনে গেট আটকানো উচিত না। জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest