এটা যদি আমার ব্যর্থতা হয়, তবে আমি ব্যর্থ মন্ত্রী : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯

এটা যদি আমার ব্যর্থতা হয়, তবে আমি ব্যর্থ মন্ত্রী : বাণিজ্যমন্ত্রী

চামড়ার পর পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারতের রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। এটা যদি আমার ব্যর্থতা হয়, তবে আমি ব্যর্থ মন্ত্রী। কোরবানির চামড়ার বিষয়ে ব্যবসারীরা বৈঠকে কথা দিয়ে তা রাখেননি, এটা যদি আমার ব্যর্থতা হয়, তবে আমি ব্যর্থ মন্ত্রী। তবে এসবের দায়ভার অন্যের ওপর চাপাতে চাই না। দায়ভার আমার। স্বস্তি নেই আমাদের মাঝেও। সেজন্যই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সফর সংক্ষিপ্ত করে দুদিন আগেই ঢাকায় এসেছি।

আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর উদ্দীনসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

চামড়ার পর পেঁয়াজ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সক্রিয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার পর দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা সারা দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। সরকারের সক্রিয় ভূমিকায় ২৫০০ ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা করা হয়।

কয়েকটি বাজারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বেশিরভাগ জেলায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। ২০০ থেকে ২২০ টাকার পেঁয়াজ আজ রাজধানীতে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। এছাড়া সব জেলায় অনেক কমেছে। শুধুমাত্র পাবনায় ১৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। মিসরের চালান আসা শুরু হলে সারা দেশে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে আসবে।

তিনি বলেন, আজ যে কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজের প্রথম চালান আসার কথা ছিল, তা আগামীকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছবে। লোডিংয়ে কিছু সমস্যার কারণে আজ আসতে পারেনি বিমানটি। এর পর ২১ নভেম্বর দ্বিতীয় এবং ২২ নভেম্বর তৃতীয় কার্গো বিমানে পেঁয়াজ পৌঁছবে ঢাকায়। প্রথমটি কার্গো বিমান, এটি সম্পূর্ণ পেঁয়াজের জন্য বুকিং করা। অন্যগুলো প্যাসেঞ্জার বিমান।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১২ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ জাহাজে করে বাংলাদেশের পথে রয়েছে। যেহেতু জাহাজ আসতে দেরি হচ্ছে সে কারণে আমি কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানির পরামর্শ দিই। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে।

টিপু মুনশি বলেন, সিন্ডিকেট বলেন আর অসাধু ব্যবসায়ী বলেন, আমরা তো এদের অবৈধ তৎপরতা ভাঙতে উদ্যোগ নিয়েছি। কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড দিয়েছি। চামড়া ব্যবসায়ীরা গত কোরবানিতে যে শিক্ষা আমাকে দিয়েছেন, তা আগামী বছর কাজে লাগাব।

লবণের সংকট আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা যদিও আমার মন্ত্রণালয়ের নয় তবুও বলি, এখনও সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন লবণ মজুদ আছে। মাসে সারা দেশে প্রয়োজন ১ লাখ টন। দেশে লবণের কোনো সংকট নেই।

সিএনআই’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest