তালতলীতে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম

প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০

তালতলীতে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম
মোঃ হাইরাজ
বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের মোঃ আক্কাস হাওলাদার ও তার স্ত্রী পারুল বেগমকে ভাইয়ের ছেলে রাসেল হাওলাদার ও রাজিব হাওলাদার পিটিয়ে জখম করেছে। আহত দম্পতিকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে। জানাগেছে, উপজেলার কলারং গ্রামের মজিবর হাওলাদার ও তার ভাই আক্কাস হাওলাদারের সাথে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার দুপুরে ওই জমির সীমানায় মাটি কাটতে যায় আক্কাস হাওলাদার। এ সময় মজিবর হাওলাদারের দুই ছেলে রাসেল হাওলাদার, রাজিব হাওলাদার ও স্ত্রী পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেনু বেগম এতে বাঁধা দেয়। এ সময় চাচা আক্কাস হাওলাদালারের সাথে ভাতিজারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় দুই ভাতিজা চাচাকে বেধড়ক মারধর করে। স্বামীকে রক্ষায় তার স্ত্রী পারুল বেগম এড়িয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারধর করেছে। ভাইয়ের ছেলেদের মারধরে স্বামী-স্ত্রী গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। আহত আক্কাস হাওলাদার বলেন, আমার জমি বড় ভাই মজিবুর হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে বুঝিয়ে দিচ্ছে না। আমি আমার জমিতে মাটি কাটতে গেলে ভাইয়ের ছেলেরা ও তাদের মা ইউপি সদস্য রেনু বেগম আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। বড় ভাই মোঃ মজিবর হাওলাদার জমির সীমানা বিরোধের কথা স্বীকার করে বলেন, তার দুই ছেলে চাচা ও চাচীকে মারধর করেছে এর উপযুক্ত বিচার করা হবে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলহাজ্ব মোঃ হারুন অর রশিত বলেন, আহত স্বামী-স্ত্রীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, স্বামী আক্কাস হাওলাদারের নাকসহ তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এ বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest