কেউ নেই অসহায় জালাল গাজী দের পাশে

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০

কেউ নেই অসহায় জালাল গাজী দের পাশে
এনামুল হক বাউফল পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারীতে হতদরিদ্র পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে সরকার। দায়িত্বে য়াছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় রাজনৈতিক কর্মী এবং প্রশাসন । এতোগুলো লোকের চোঁখে পড়েনি রিক্সা চালক জালাল গাজীকে। তার ভাগে জোটেনি করোনা ত্রান সহায়তা। বেঁচে থাকার তাগিদে দুই চোখের পানি ফেলে উপজেলা সদরের বাইরে গ্রামের ছোট ছোট আকাবাকা রাস্তায় আড়ালে আবডালে রিক্সা চাঁলিয়ে দিন কাটিয়েছেন তিনি। উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের ০২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জালাল গাজী পেশায় দিন মজুর রিক্সা চালক। ৩ মেয়ে ৪ ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হলেও ছেলে দুইজন কর্মহীন। নিজম্ব কোনো সম্পত্তি নেই। দৈনিক পরিশ্রম করে ৫ সদস্যের পরিবার চলছে। সারা জীবন তিনি রিক্সার প্যাডেল ঘুরিয়েই সংসার চালাচ্ছেন। কত লোক যাত্রী হয়ে তার রিক্সায় উঠেছে। কিন্তু কারো দয়া হয়নি তার প্রতি। বাউফলে ৪৭ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের তালিকা হয়েছে। ২০ হাজার পরিবার ত্রান সহায়তা পেয়েছে। ওই দরিদ্র পরিবার তালিকাভূক্ত হয়ে ত্রান সহায়তার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যান নিকটে দ্বারস্ত হচ্ছে একাধিকবার। কেউ কথা দিয়ে কথা রাখেনি। অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ০১৮১৯২৬০৩৭, ০১৭১১৫২০০০০ নিয়মিত রিং করছেন। মিলবে কি তার সাথে সরাসরি কথা ! বৃদ্ধ বয়সে ত্রান সহায়তার জন্য উপজেলা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। কাপা কন্ঠেস্বরে জালাল গাজী মৌখিক অভিযোগ করে জানান, করোনা মাস। কতই লোককে ত্রান সহায়তা দেয়া হয়েছিল। চোঁখের সামনে দিয়ে আমার রিক্সায় একই পরিবার একাধিকবার ত্রান নিতে দেখা গেছে। রয়েছে একই পরিবারে বয়স্ক ভাতা, ভিজিডি, ১০ টাকা কেজি চাউল এবং ভিজিএফ। যা একটি পরিবারে একাধিক সরকারি সেবা গ্রহন নিয়ম বর্হিভূত তেমনি জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বহীনতার পরিচয়।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest