ঢাকা ৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০
চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ
নিজস্ব প্রতিনিধি, দিনাজপুর
করোনার থাবায় লকডাউন শহর। দোকানপাট বন্ধ, বন্ধ খাবারের হোটেল থেকে কসাইখানা। শহরের বেওয়ারিশ কুকুর গুলি না খেয়ে নিরবে ফ্যাল ফ্যাল করে মানুষের বাড়ীর দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে। পরিস্থিতি অনুধাবন করে চিন্তায় রেখা কপাল ফুড়ে বের হয় প্রচার বিমুখ মানুষ আফসানা ইমুর।
পুরাতন নেশা ভর করল চেতনায়। পশুর প্রতি ভালবাসা, সেই ছোট কালের নেশা। চুপ না থেকে ঝটপট সাইফুল, মুরাদ, মারুফ, মৌরি, দোলা, করিমুল সহ বেশ কয়েকজন তরুণ তরুণী নিয়ে যেই কথা সেই কাজ। টিমের নাম “দিনাজপুর স্বেচ্ছাসেবি টিম”।
বেকারি থেকে পাউরুটি নিয়ে চষে বেড়ালো সমগ্র দিনাজপুর শহর। প্রথম দিনেই দুইশতাধিক অভুক্ত প্রানিদের খাবার দিলেন তারা। বিষয় টি নজরে আসে মাননীয় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম পি মহোদয়ের। তিনি আফসানা ইমু কে আশ্বাস দেন পশুখাদ্যের জন্য যা অর্থ লাগে তিনি দিবেন। বেগবান হয় কার্য্যক্রম, রুটির সাথে যোগ হয় খিচুড়ি ।
তারা লক্ষ করেন অনাহারী পশুদের মত অনেক পাগল, প্রতিবন্ধি রেলস্টেশনের ভবঘুরেরাও অযত্নে ক্ষুদার্ত অবস্থায় আছে। নাগরিক উদ্যেগ থেকে এগিয়ে আসে জনাব আবুল কালাম আজাদ। শুরু হয় পশুখাদ্যের পাশাপাশি, তাদের জন্য খাদ্য যোগান দেয়া। নিজ উদ্যেগে এবং বন্ধু পরিজন দের সহযোগিতায় অর্থায়ন হয় এসব খাবারের।
তাছাড়াও হাসপাতালের রুগিদের হাত ধোয়া, মাস্ক বিতরণ সহ বিভিন্ন দোকানে, কাচাবাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য গোল দাগে চিহ্নিত করা সহ মাইকিং করে জনসচেতনতার কাজ নিয়মিত স্বার্থহীন ভাবে করে যাচ্ছে “দিনাজপুর স্বেচ্ছাসেবী টিম”।
টিম লিডার আফসানা ইমুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার ভাল লাগছে যে, সদরে আমরা প্রথম হ্যান্ড স্যানেটাইজার তৈরি ও বিতরণ সহ অন্যান্য কাজ গুলি শুরু করি এবং এ থেকে একটি জাগরণ সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই সেবামুলক কাজ শুরু করে।
যদিও আমদের কখনোও ক্রেডিট নেয়ার কথা মাথায় আসেনি তারপরেও আমাদের কাজের বিপরিতে নিন্দুকের অনেক সমালোচনা মাথায় নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, সমাজের সকল মানুষ কেউ এই বিপদকালীন সময়ে নিজ জায়গা থেকে যে যতটুকু পারেন, যেভাবে পারেন কাজ করা উচিৎ।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST