ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় আম্ফানে ভাঙ্গন কবলিত বিষখালী নদীর তীরে বেড়িবাঁধ নির্মানণর দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় আম্ফানে ভাঙ্গন কবলিত বিষখালী নদীর তীরে  বেড়িবাঁধ নির্মানণর দাবীতে মানববন্ধন

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু,ঝালকাঠি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় আম্ফানের আঘাতে বিষখালী নদীর তীরবর্তী ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ায় প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে ২০ গ্রাম, বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি এবং ভেসে যাচ্ছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলা পরিষদ। ফলে ভাঙ্গন কবলিত বিষখালী নদীর তীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থরা সিসি ব্লক, পোল্ডার দিয়ে ও নদী শাসনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় ভাঙ্গন কবলিত বিষখালী নদীর তীরে মানববন্ধন করেছেন। দীর্ঘ এ মানববন্ধনে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বদু সিকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ কাওসার আহমেদ জেনিভ সিকদার, সমাজসেবক এডভোকেট মো. তরিকুল ইসলাম খোকন সিকদার, জেলা ইসলামী আনন্দোলনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাওলানা মো. আহসান উল্লাহ খান সবুজ, জেলা পরিষদ সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেন অপু সিকদার, সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম রাসেল সিকদার, মো. তুহিন সিকদার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বিষখালী নদী তীরের অরক্ষিত বেড়িবাঁধের ৫ কিলোমিটার ভেঙে ফসলি জমি ও বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। ঝড়ের রাতে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিলেও পানির তোরে ভেসে গেছে বসতঘরে থাকা মালামাল। পানিতে তলিয়ে যায় আমুয়া, আউরা জয়খালী, চিংড়াখালী, মশাবুনিয়া, হেতালবুনিয়া, কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঁঠালিয়া, রঘুয়ার চর, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়া গ্রামের প্রায় দুইশত ঘরবাড়ি, তিনটি বাজারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও শত শত একর ফসলি জমি।
বর্তমানে কাঠালিয়া উপজেলার ২৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের পুরোটাই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
মানববন্ধনকারীদের একটিই দাবি সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে কাঠালিয়ার বিষখালী নদী শাসন করে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করবেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest