ঢাকা ৭ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২০
রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু,ঝালকাঠি: ঝালকাঠি জেলা জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ঘন্টায় জেলার নলছিটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শিউলী পারভীনসহ ২ ডাক্তার, সরকারী চাকুররত ৪জন ও ১জন সাংবাদিকসহ নতুন করে ১০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার ৪টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় কোভিড-১৯ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২২জনে।
গতকাল শুক্রবার রাতে সর্বশেষ প্রতিবেদনের জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়ার পর নমুনা পাঠানো এক জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসায় জেলায় সরকারী হিসাবে ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেসরকারী হিসাবে এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় দুজন চিকিৎসক ও নলছিটি সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস মাঝিসহ নতুন করে মোট ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য চিকিৎসক হলেন ,নলছিটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুমাইয়া। এর আগেও মিজান মোল্লা নামে নলছিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ্য হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শিউলী পারভীন ও চিকিৎসক সুমাইয়া গত মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন। আক্রান্ত দুই নারী চিকিৎসককে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনীবুর রহমান জুয়েল জানান।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , গতকালের আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে অন্য দুজনের মধ্যে ঝালকাঠি সদরে ১জন এবং রাজাপুরে ১জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ১২২ জন। এদের মধ্যে সদরে-৩৯ , নলছিটি-৩৭ , রাজাপুর-২৯ , কাঁঠালিয়া ১৭। জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪১জন। সর্বশেষ আক্রান্তদের মধ্যে আছেন , ঝালকাঠির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের একজন সেরেস্তাদার , জিটিভির জেলা প্রতিনিধি শহীদুল আলম , সদর উপজেলা পরিষদের একজন কর্মচারী , পল্লী বিদ্যুৎ একজন কর্মচারী , এবং একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
এদিকে নলছিটির ভৈরপাশায় গত ১৭ জুন সকালে জ্বর সর্দি ও কাশি নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি বাদশা মিয়া (৬৫) করোনা পজেটিভ ছিলেন। ওই দিন স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে বরিশালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল রাতে তাঁর প্রতিবেদন পজেটিভ আসে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট ৫জন মারা গেলেন বলে জানান।
জেলায় গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত ১ হাজার ৪০৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানে হয়েছে। এদের মধ্যে ১১২ জনের প্রতিবেদন পজেটিভ এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ২০৭ জন ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৭৪ জন।
তবে করোনা রোধে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের অবিরাম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মানুষদের সচেতনতার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে জরিমানা করতেও দেখা গেছে। #
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST