ঝালকাঠির নলছিটিতে ঘুর্নিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে খোদ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর পৌর এলাকার সূর্যপাশা গ্রামের আনোয়ারা বেগমের অভিযোগ পিআইও অফিসের নৈশ্য প্রহরী আল আমিন তার জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ সহায়তার তিন হাজার টাকার ব্যাংক চেক আত্মসাৎ করার চেস্টা করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মধ্যেস্ততায় উপকারভোগীর বরাদ্ধকৃত চেকটি ফেরত দেয় ওই কর্মচারী।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলায় নদী ভাঙন ও ঘুর্নিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬টি পরিবারের মধ্যে টেউটিন ও নগদ তিন হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেয়া হয়। এতে সূর্যপাশা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আনোয়ারা বেগমকে তালিকাভূক্তি করা হলে তার বরাদ্ধকৃত টিন ও নগদ অর্থ গ্রহন করতে পিটআইও অফিসে যোগাযোগ করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনোয়ারা বেগম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহায়তার টিন ও চেক গ্রহণ করতে আসলে অফিসের কর্মচারী আল আমিন কৌশলে ওই মহিলার বরাদ্ধকৃত তিন হাজার টাকার চেকটি আত্মসাৎ করার পায়ঁতারা করে। সে সহায়তা নিতে আসা আনোয়ারা বেগমকে ভুল বুজিয়ে চেক ভাঙানোর জন্য এক হাজার টাকা খরচ দাবি করে নগদ দুই হাজার টাকা দিয়ে অফিস থেকে বিদায় করে। ভুক্তভোগী বিষয়টি তার সাংবাদীকদের জানালে তারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে। পরে পিআইও উপকারভোগীর চেক আত্মসাৎ চেস্টার ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্ত আনোয়ারা বেগমকে তিন হাজার টাকার চেকটি ফেরত দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী আল আমিন অভিযাগ অস্বীকার করে জানান, পুরো বিষয়টি ভুলবোজাবুজি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। উপকারভোগী ওই মহিলা চেক ভাঙাতে আমার সহযোগীতা চেয়েছেন বলে আমি টাকা দিয়েছি। এক হাজার টাকা খরচ দাবি বিষয়ে বলেন পাঁচশত টাকা খরচ হিসাবে নিয়াছে, বাকি পাঁচশত টাকা পরবর্তী সময়ে তাকে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিজন খরাতী জানান, অভিযোগ পেয়ে উপকারভোগীকে চেকটি সরবারহ করা হয়েছে ও অভিযুক্ত নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।