বরিশাল শিশু ও যুব ফোরামের মেয়রের নিকট স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২০

বরিশাল শিশু ও যুব ফোরামের মেয়রের নিকট স্মারকলিপি প্রদান

পারভেজ,বরিশাল প্রতিনিধিঃ

করোনা মহামারীকালীন সময়ে শিশু ও যুব কল্যাণে বাজেট বরাদ্দের জন্য ৭ দফা সুপারিশ পেশ করে বরিশাল শিশু ও যুব ফোরামের পক্ষ থেকে
“স্মারকলিপি প্রদান”।
করোনা মহামারীকালীন সময়ে শিশু ও যুব কল্যাণে বাজেট বরাদ্দের জন্য বরিশাল সিটি মেয়র বরাবর ৭ দফা সুপারিশ পেশ করে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বরিশাল শিশু ও যুব ফোরাম। বরিশাল শিশু ও যুব ফোরাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসাবে বরিশাল সিটিতে শিশু ও যুবকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

২০২০-২০২১ অর্থ বছরের নতুন বাজেটে শিশুদের ও যুবকদের কল্যাণ বিবেচনায় রেখে বাজেট বরাদ্দের সুপারিশ পেশ করে স্মারকলিপিটি পেশ করে শিশু ও যুব ফোরামের পক্ষে মোঃ আবু সুফিয়ান শেখ, বরিশাল যুব ফোরামের প্রেসিডেন্ট, রাহিমা ইসলাম মিম, শিশু ফোরামের সদস্য,এবং শোহানুর রহমান,পার্টনার এবং স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন মাননীয় সিটি মেয়রের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা , বরিশাল সিটি।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ বরিশাল এপির স্পন্সরশীপ ও চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার চার্চিল দাস।

স্মারকলিপিতে যে সুপারিশগুলো তুলে ধরেছে সেগুলো হলো:

১. বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে শিশুদের সুরক্ষার জন্য খাতভিত্তিক সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ অব্যাহত রাখা, যা মোট বাজেটের ১০% এবং বাজেট বাস্তবায়নে শিশুদের মতামত ও অংশগ্রহন নিশ্চিত করা । একই সাথে শিশু বাজেটের জন্য সুনির্দিষ্ট বাজেট কোড ব্যবহার করা।
২. বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত জনগণের মাঝে কোভিড ১৯ বিষয়ক সচেতনতা সহ বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বন্ধে মাইকিং করে, বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে, সংবাদপত্রে প্রতিবেদনের মাধ্যমে সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা।

৩.বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে শিশুদের জন্য আলাদা আলাদা ডাটাবেজ প্রনয়ণ করা যেমন- শিশুশ্রমিক, প্রতিবন্ধী শিশু এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশু, যেন এখান থেকে জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্টান সংশ্লিষ্ট এলাকার শিশুদের সার্বিক তথ্য এবং উপাত্ত সংগ্রহ করার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া শিশুদের প্রকল্পে অর্šÍভুক্ত করতে পারে।

৪. শিশুবিবাহ, শিশুশ্রম এবং শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধে সুনিদিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা ও যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সহ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে একজন মনোসামাজিক পরামর্শক নিয়োগ প্রদান যেন মানসিক আঘাত প্রাপ্ত শিশুরা পরামর্শ গ্রহন করতে পারে।

৫. সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশু পরিবার, প্রতিবন্ধী ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশু পরিবারের জন্য বরাদ্দের পরিমান বৃদ্ধি করা।

৬. কোভিড ১৯ কে বিবেচনায় রেখে এই মহামারীকালীন সময়ে স্বাস্থ্যখাতে শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখা, যাতে করোনা মহামারীকালীন সময়ে কোন শিশুই স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।

৭. যুবকদের জন্য প্রশিক্ষণখাতে বিশেষ বরাদ্দ রাখা এবং এই সময়ে যুবকরা যাতে ঘরে বসে উপার্জন করতে পারে সেজন্য বিশেষ অনলাইন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest