আগৈলঝাড়ায় সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে প্রহশনের বিয়ে থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের. ধর্ষকসহ গ্রেফতার দুইজন

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২০

আগৈলঝাড়ায় সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে প্রহশনের  বিয়ে  থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের. ধর্ষকসহ গ্রেফতার দুইজন

মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ. আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পাকুরিতা গ্রামে সিদুর পরিয়ে প্রহশনের বিয়ের। ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের। পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে এবং ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বিয়ে না হলে আত্মহত্যার হুমকী দিয়েছে ধর্ষিতা ছাত্রী।
থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম সরোয়ার জানান, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের কলেজ ছাত্রী (২০) ধর্ষণে ঘটনায় ওই ছাত্রী মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেন, নং-৫ (১৫.১০.২০)। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান বৃহস্পতিবার তাৎনিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক পাকুরিতা গ্রামের হরেণ জয়ধরের ছেলে শুকদেব জয়ধরকে(২৫) গ্রেফতার করেছে। এসময় এজাহারভুক্ত আসামী অভিযুক্ত শুকদেবের মা গৌরী জয়ধরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আগৈলঝাড়া শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ধর্ষিতা ছাত্রী জানায়, পাকুরিতা গ্রামের হরেণ জয়ধরের ছেলে শুকদেব জয়ধরের সাথে দেড় বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুযোগে শুকদেব তাকে কাছে পেয়ে একদিন জোর করে ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষণের সুযোগ নিয়ে তাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে শুকদেব। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রী শুকদেবকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে শুকদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে না করে তার মাথায় সিঁথিতে সিঁদুর পড়িয়ে দিয়ে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে বলে দাবি করে শুকদেব। পরে ধর্ষক শুকদেবকে বিয়ে করতে বললে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এমন বিয়ের বিষয়টি শুকদেবের পরিবারকে জানানোর জন্য ওই ছাত্রী চাপ দিয়ে আসলে সম্প্রতি শুকদেব গোপনে উজিরপুর উপজেলার কালবিলা গ্রামে বিয়ে করে। তিন মাস আগে বিয়ের পরেও গত সোমবার রাতে সাড়ে এগারোটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে দরজা খোলা মাত্রই পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা পাশ্ববর্তি বাড়ির বখাটে শুকদেব জয়ধর ঘরে ঢুকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানী করে। ছাত্রীর ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে শুকদেব কৌশলে পালিয়ে যায়। শুকদেব পালিয়ে যাওয়ার পর সোমবার রাতেই বিয়ের দাবিতে শুকদেবের বাড়িতে অবস্থান নেয় ধর্ষিতা প্রেমিকা। ধর্ষিতা বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর থেকেই ধর্ষক প্রেমিক শুকদেব বাড়ি থেকে লাপাত্তা হয়ে গিয়ে ছিল। ধর্ষিতা বিয়ের দাবিতে ধর্ষক শুকদেবের ঘরে অবস্থান করে। ওই ছাত্রী আরও জানায়, এমন পরিস্থিতিতে বিয়ে না হলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই। বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যা করব।
এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান জানান, নির্যাতীতা দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৬সেপ্টেম্বর মারা যান। ১২অক্টোবর (সোমবার) ছাত্রীর মা ধর্ষণ মামলার বাদী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই দিন দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে দরজা খোলা মাত্রই পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা পাশ্ববর্তি বাড়ির বখাটে শুকদেব জয়ধর (২৫) বাদীর ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানী করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে এবং ওই দিন ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest