নীলফামারীতে পালন করা হয়েছে “মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র, কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র” ডে

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২০

নীলফামারীতে পালন করা হয়েছে “মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র, কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র” ডে

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :

সারাদেশের ন্যায় নীলফামারীতে পালন করা হয়েছে “মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র, কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র” এই শ্লোগানে কমিউনিটি পুলিশিং ডে/২০২০। এ উপলক্ষে শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা কমিউনিনিটি পুলিশিং ফোরাম।
সকাল ১০টার দিকে বেলুন উড়িয়ে ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা ঘটে অনুষ্ঠানের। এরপর আলোচনা শেষে কমিউনিটি পুলিশিং কাজে বিশেষ অবদানের জন্য আইজিপি প্রদত্ত পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় দুই ব্যক্তির হাতে। করোনায় মৃত ও অসুস্থ পুলিশ সদস্যের জন্য দোয়া করা হয়।

আলোচনা সভায় ভিডিও কসফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
নীলফামারী  পুলিশ সুপার(সাময়িক দায়িত্ব) ও নীলফামারী সার্কেল রুহুল আমিন-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আহবায়ক নীলফামারী পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজকোর্টের বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. অক্ষয় কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার, জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভুষণ কুন্ডু, জেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রশীদ মঞ্জু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’এর জন্মশতবার্ষিকীতে “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এই শ্লোগানটি নিয়ে করোনা সংকটময় সময়ে যেভাবে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করেছে, তা অবিশ্বানীয় ও অতুলনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনায় দেশের অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি সেবা পৌঁছে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কমিউনিটি অর্থ হচ্ছে সংযোগ। আর কমিউনিটি পুলিশ জনগণের সাথে সেই সংযোগ তৈরি করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি পুলিশে বেশি জোড় দিয়েছেন। কারণ দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য সংখ্যা কম। যার কারণে অনেক স্থানে পুলিশ সঠিক সময় অপরাধ থামাতে পারে না। যার জন্য জনগণের সাথে এই কমিউনিটি পুলিশ গঠন করা হয়েছে। যাতে জনগণ নিউ নিউ এলাকার অপরাধগুলি দমন করতে পারে। পাশাপাশি পুলিশের সহযোগীতা করতে পারে। বাংলাদেশ পুলিশের একটি নিতি নিয়ে চলে তা হচ্ছে “পুলিশই জনতা, জনতই পুলিশ”। অপরাধ দমনে আমরা যদি পুলিশের সহযোগীতা করতে না পারি তাহলে চুরি, ছিনতাই, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ বেশি বেশি বেড়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী, নীলফামারী বড় মসজিদের খতিব আলহাজ্ব খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল হক নুরী, মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সারওয়ার মানিক, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম, ৬ থানার ওসি, ইউপি চেয়ারম্যান, কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য, সাংবাদিক বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রূপম মহসিন রেজা।

সভা শেষে সেখানে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কাজে বিশেষ অবদানের জন্য ডোমার থানার উপ-পরির্দশক মো. শাহ্ আলম ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের ডোমার পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সম্পাদক মো. জাবেদুল ইসলাম সানবীমকে আইজিপি প্রদত্ত সম্মাননা ক্রেস্ট হাতে তুলে দেন অতিথিরা।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের পরির্দশক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী জানান, জেলায় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, শিশু ও নারী পাচার এবং নির্যাতন রোধ, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধে জেলায় পুলিশের ৭৪টি বিট কাজ করছে। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশং ফোরাম একই লক্ষে কাজ করছে।

নীলফামারী  পুলিশ সুপার(সাময়িক দায়িত্ব) ও নীলফামারী সার্কেল রুহুল আমিন বলেন, নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম,পিপিএম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন। তার নির্দেশনায় নীলফামারীতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে অপরাধ সমস্যা সমাধানে পুলিশ ও জনগণের যৌথ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার একটি নতুন পুলিশিং দর্শন। আমাদের দেশে পুলিশী কর্মকান্ডে জনগণের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং ধারণা গ্রহণ করা হয়েছে।#


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest