আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে ৩৭ দফা লক্ষ্য ঘোষণা দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ তরিকত পার্টি। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে দলটি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “জুলাই ২০২৪-এর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান হলেও বর্তমানে দেশে এক ধরনের ‘নীরব নৈরাজ্য’ বিরাজ করছে। সারা দেশে মাজার শরিফে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, এমনকি কবর থেকে লাশ তুলে আগুনে পোড়ানোর মতো বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে।
খাদেমসহ বহু মানুষ খুন, গুম ও নিখোঁজ হয়েছেন। এ অবস্থায় দেশের মানুষ আতঙ্ক ও শঙ্কার মধ্যে জীবন যাপন করছে।”
বক্তারা বলেন, ‘রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংকটের কারণে দেশের আকাশে ক্রমশ কালো ছায়া নেমে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে নৈরাজ্যবাদ, সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাজি ও দখলদারমুক্ত একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে তরিকত পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছে।
অনুষ্ঠানে তরিকত পার্টির পক্ষ থেকে ৩৭ দফা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে উলেখযোগ্য হলো—
পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জুলাই আন্দোলনের আদর্শ ক্ষুণ্ন রাখা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন, সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বেকারত্ব দূরীকরণ ও মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষকের ন্যায্য অধিকার ও কৃষি পণ্যের সঠিক বাজারমূল্য নিশ্চিত করা, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, নারী শিক্ষা, গ্রামীণ অবকাঠামো ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার, চুরি, ডাকাতি, খুন-খারাপি ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে কার্যকর প্রশাসন গঠন, অসহায়, দুস্থ ও গৃহহীন জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশ, জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠন ও জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
তরিকত পার্টির নেতারা বলেন, ‘আমরা কলুষ ও দুর্নীতিমুক্ত আদর্শ রাষ্ট্র গড়তে তরিকতপন্থি ভাই-বোনসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই। দলমত-হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে।
শেয়ার : ৫৫