তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২০

তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহী ব্যুরো: তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগরীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর রাণীবাজারে অবস্থিত একটি রেঁস্তোরার সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন জামালপুর হজের মোড় এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ভুক্তভোগী ইমাম হাসান ও তার পরিবার। এ ঘটনায় নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ইমাম হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইমাম হাসান জানান, তিনি গত ২০০৬ সালে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানাধীন লক্ষীপুর ভাটাপাড়া এলাকার সাদেকুর রহমানের মেয়ে মুসলিমা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দুই বছর সংসাবর ভালো কাটলেও পরে তার অসুস্থ মায়ের সেবা যত্নকে কেন্দ্র করে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়।

তার স্ত্রী মুসলিমা মা জাহেদা খাতুনকে পৃথক করে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। তার কথায় রাজি না হলে সে তার বাবার বাড়িতে চলে যায় এবং কিছুদিন পরে ফিরেও আসে। এভাবেই কিছুদিন চলে যায়। গত প্রায় ৮ মাস আগে একই বিষয় নিয়ে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে। কিন্ত তিনি তার মায়ের কাছ থেকে পৃথক না হওয়ার কথা স্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দেন। স্বামীর অনড় অবস্থানে স্ত্রী মুসলিমা বিষয়টি তার দুই ভাইকে জানায়। এরপর তার দুই ভাই কিছু অজ্ঞাত লোকজনকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার ও

পরিবারের উপর চড়াও হয়। শুধু চড়াও নয় তার স্ত্রীর দুই ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দেয়। এ ঘটনার পর আরো চাপ প্রয়োগ করে ও তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। পারিবারিকভাবে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রীকে সংসারে ফিরিয়ে আনার জন্য নারী ও শিশুদের আইনি সহায়তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন নবদিগন্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে মীমাংসা বৈঠকে আসার জন্য চিঠি দেয়া হলেও তারা আসেনি। উল্টো সেই সংস্থার নির্বাহী পরিচালককেই হুমকি দেয়। সংস্থাও মীমাংসা করে দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর ভয়ে তিনি চলতি বছরের ২০ জুলাই কজির মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাক দেন। সেই কাগজ

সরকারীভাবে পাঠানো হলেও মুসলিমা রিসিভ করেনি। তালাকের পর ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও কাগজ রিসিভ না করে উল্টো তাদের বাড়িতে লোকজন নিয়ে গিয়ে গেটে ধাক্কাধাক্কিসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, শুধু তাকেই নয় তার ছোট ভাই মেহেদি হাসান (৩৪) কে নানাভাবে হয়রানি করছে মুসলিমা ও তার লোকজন। প্রকাশ্য দিবালোকে তার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করা হয়। চলতি মাসের ৬ নভেম্বর তার ভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে বাড়িতে আসলে সেই খবর পেয়ে তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী মুসলিমা লোকজন নিয়ে বাড়ির সামনে অবস্থান গ্রহণ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা

চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে অবগত করেন। ওসি বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী মুসলিমা তার লোকজন পুলিশের কথা শুনে বাড়ির সামনে থেকে সরে যায়। পরেরদিন রাতেও লোকজন নিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে যায়। মোবাইল ফোনেও তাদের হুমকি দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় আমি ভীত সন্ত্রস্ত ও আইনের সাহায্য কামনা করছি।

এ বিষয়ে ইমাম হাসানের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী মুসলিমার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে তার ভাই মেহেদি হাসান উপস্থিত ছিলেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest