ঝালকাঠিতে আদালতেই ধর্ষক-ধর্ষিতার বিয়ে ।। অত:পর ধর্ষকের জামিন

প্রকাশিত: ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২০

ঝালকাঠিতে আদালতেই ধর্ষক-ধর্ষিতার বিয়ে ।। অত:পর ধর্ষকের জামিন

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি: ঝালকাঠির আদালত চত্বরে ধর্ষণ মামলার আসামী ও নির্যাতিত ধর্ষিতা তরুণীর সাথে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজের অবকাশকালীন আদালতে বিচারক মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে রবিবার দুপুরে দুইপক্ষের উপস্থিতে কাজী মাও: মোঃ বশির এ বিয়ে পরিয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. আব্দুল মন্নান রসুল ও আসামী পক্ষের এড. বনি আমিন বাকলাই এ বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিয়ের বর হলেন বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে নাঈম সরদার (২২) আর কনে হলেন ঝালকাঠির বালিঘোনা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে আরজু আক্তার (১৮)। বিয়ের পর আসামী বর নাঈমের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।

মামলায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের সাথে আলাপকালে জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের আরজু আক্তার গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে একটি নালিশী মামলা দায়ের করে। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক ভিকটিমের অভিযোগখানা ঝালকাঠি থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ডরে নির্দেশ দেন।

১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় এফআইআর রেকর্ড হলে একমাত্র আসামী নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন ছেলেকে ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই নাজমুজ্জামান আসামীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন । আদালত নাঈমের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন

রবিবার অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামীর জামিন শুনানীর সময় আসামী পক্ষ ভিকটিমকে বিবাহের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং নির্যাতিত পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালত চত্বরেই ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন।

আদালত চত্বরে আসামী, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয় । বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানী শেষে বিশ হাজার টাকা বন্ডে আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বর আসামী নাঈম পেশায় একজন ইলেক্টট্রিশিয়ান এবং কনে আরজু দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেছে।

জানাগেছে, ২০১৯ সালে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে এক সময় ভালবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। ঘটনার দিন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং রাত আনুমানিক ১০টায় প্রেমিক নাঈম মোবাইলে ফোন দিয়ে গোপনে নির্যাতিতার বাড়ির পেছনের বাগানে ডেকে আনে। সেখানে প্রেমিকা আরজুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রেমিক নাঈম ধর্ষণ করে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest