বাবুগঞ্জে মেম্বর কর্তৃক নৌকার প্রতীক ভাঙচুরের অভিযোগ ।

প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের এয়ারপোর্টে বাবুগঞ্জের কেদারপুরের ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার লাভলুর বিরুদ্ধে নৌকার প্রতীক ভাংচুর ও একই ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী জসিমকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী মেম্বার পদপ্রার্থী জসিমের ভাষ্যমতে জানা যায়, ১৪ তারিখ দুপুরে বরিশাল বিমান বন্দরে কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরে আলমকে ফুল ও নৌকার প্রতীক দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যান ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর পদপ্রার্থী জসিম। একইসময় বর্তমান মেম্বার লাভলু দলবল নিয়ে হাজির হন বিমানবন্দরে। চেয়ারম্যান নুর আলমকে ফুল দিতে গেলে হঠাৎ করে মেম্বার লাভলু তার দলবল নিয়ে আকস্মিক হামলা চালায় জসিমের উপরে এবং জসিমের হাতে থাকা নৌকার প্রতীক ভাঙচুর করে। উক্ত ঘটনায় বাবুগঞ্জ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

মেম্বার প্রার্থী জসিম সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারী লাভলু একজন সন্ত্রাসী, জুয়াখোর ও ইয়াবা ব্যবসায়ি। সে আগে ঢাকায় থাকত এবং মাছ বিক্রি করত। সে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ কারী। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী তাই তাকে এখন আর কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চায় না। তার বিরুদ্ধে আমি প্রার্থী হওয়ায় আমার উপরে হামলা করেছে এবং আমার গলার স্বর্ণের চেইন ও হাতের স্বর্ণের ব্রেসলেট নিয়ে যায় ও নৌকার প্রতীক ভাঙচুর করেছে। তাই আমি আমার প্রানের সংগঠন আওয়ামীলীগের প্রতীক নৌকা ভাঙচুর করায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই ।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত লাভলুকে তার ব্যবহৃত ০১৭৪১…..২২ ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নূরে আলমের কাছে জানতে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি ।

এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক দুলালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি বিমানবন্দর ভি আইপি রুমে ছিলাম। পরে ভুক্তভোগী জসিমের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি। নির্বাচনে যদি কেউ দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest