ঢাকা ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নওগাঁর রাণীনগরে এক ছাত্রীর সঙ্গে এক শিক্ষকের অনৈ’তিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দাবি, ভিডিওটি এক বছর আগের।
অভিযুক্ত শিক্ষক রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটু।
তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেলবাড়ি গ্রামের মৃত আশরত আলী মিনার ছেলে।
জানা যায়, ১৪ বছর আগে মো. সাদেকুল ইসলাম পিটুকে স্কুল কর্তৃপক্ষ সহকারি লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দেয়। স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্কুলের পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে ছাত্রীদেরকে প্রাইভেট পড়াতেন। এই সুযোগে এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈ’তিক কর্মকাণ্ড করে তার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওটি গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই উপজেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মঞ্জু রশিদ জানান, এরকম ন্যাক্কারজনক কথা শুনতে খারাপ লাগে। ঘটনার তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অভিযুক্ত শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহারকৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রায় এক বছর আগে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটু ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনৈ’তিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এক বছর আগে গুঞ্জন শুরু হলে ওই শিক্ষার্থী টিসি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
কিন্তু শনিবার থেকে জানতে পারছি ওই ছাত্রী এবং সাদেকুলের অনৈ’তিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত কেউ আমার কাছে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ জার্নাল
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST